ভাষানী ছিলেন কৃষক ও খেটে খাওয়া মানুষের নেতা

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় মজলুম জননেতা আব্দুল হামিদ খান ভাষানীর ৩৯তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে ভাষানী অনুসারী পরিষদ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আহ্বায়ক লিটু বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন মহকুমা ভাষানী ন্যাপের সাবেক সভাপতি আবুল হাসান বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন মহকুমা ভাষানী ন্যাপের সাবেক সভাপতি অ্যাড. কামরুল আরেফিন বিশ্বাস, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শেখ ও সিপিবি লুৎফর রহমান। এছাড়া ভাষানী অনুসারী পরিষদের সদস্য ও বিভিন্ন সংগঠনের ভাষানী প্রেমী নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহকুমা ভাষানী ন্যাপের সাবেক সভাপতি আবুল হাসান বিশ্বাস বলেন, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী বাংলার মজলুম জননেতা। তিনি তার সারাটা জীবন কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য ব্যয় করেছেন। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের জীবনে কখনো কোথাও মাথানত করেননি। আপোষহীন থেকেছেন নিজের আদর্শের প্রতি। জাতীয়তাবাদী চেতনাকে ধারণ করে মেহনতি মানুষের মুক্তির সংগ্রামে তিনি ছিলেন অবিচল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে জাতীয়তাবাদী চেতনায় জাগরিত করেন। জমিদারদের নির্যাতন-অত্যাচারের বিরুদ্ধে কৃষক ও মেহনতি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে আন্দোলন গড়ে তোলেন তিনি। শুধু ব্রিটিশ নয়, পাকিস্তান স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে তিনি জীবনপণ লড়াই চালিয়েছেন। বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার অবদান অবিস্মরণীয়। তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতা এবং পঞ্চাশের দশকেই নিশ্চিত হয়েছিলেন যে পাকিস্তানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা ও পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দীক্ষাগুরু ছিলেন মাওলানা ভাসানী। শোষিত-বঞ্চিত ও নিপীড়িত অধিকারহারা মানুষের অধিকার আদায়ে সংগ্রামী মহাপুরুষ ছিলেন মাওলানা ভাসানী। আজ দেশে মাওলানা ভাষানীর মতো নেতা প্রয়োজন। আমাদের তার আদর্শকে অন্তরে ধারণ করে দেশ গড়ার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আরও বক্তব্য রাখেন মহকুমা ভাষানী ন্যাপের সাবেক সভাপতি অ্যাড. কামরুল আরেফিন বিশ্বাস, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শেখ, সিপিবি লুৎফর রহমানসহ প্রমখ।