ঢাকার হোটেলে চুয়াডাঙ্গার এক যুবকের লাশ : যুবতী আটক

 

 

স্টাফ রিপোর্টার: নারী নিয়ে রাজধানীর একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থানকালে লাশ হয়েছে চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার খাদিমপুরের কাওছার আলী। ২৫ দিন আগে চাচাতো ভাইয়ের মোটরসাইকেল চেয়ে নিয়ে আসছি বলে পথে বের হয় পঁচিশ বছরের কাওছার আলী। তার লাশ উদ্ধারের পাশাপাশি হোটেলের কক্ষ থেকে স্ত্রী পরিচয়দানকারী এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করেছে যৌন উত্তেজক ওষুধ।

গতকাল বুধবার সকালে ঢাকা ভাটারা এলাকার হ্যাভেন টাস হোটেলের ৬ষ্ঠ তলার ৫ নম্বর কক্ষের বাথরুম থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় স্ত্রী পরিচয়ে একই কক্ষে থাকা এক নারীকে। তাকে ভাটারা থানা পুলিশ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। অপরদিকে কাওছারের লাশ গতকাল বিকেলে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হয়। রাতে লাশ নিয়ে নিজ বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন তার নিকটজনেরা। এদিকে ছেলের মৃত্যু খবরে তার পিতাসহ পরিবারের লোকজন ভেঙে পড়েছেন। ভাটারা থানা পুলিশ বলেছে, যৌন উত্তেজক ওষুধ সেবনে ফুর্তি করতে গিয়ে ব্যচারা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাচ্ছে না।

আমাদের ভালাইপুর প্রতিনিধি খাদিমপুর থেকে ফিরে জানিয়েছেন, আবাসিক হোটেলের বাথরুম থেকে অজ্ঞাত নামা একটি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পকেটে থাকা মোবাইল নম্বরে স্ত্রীর সাথে যোগাযোগ করে পুলিশ। নিহতের পিতা খাদিমপুর রসুনখালী মোড়ের হাসিবুল ইসলাম ওরফে কাটু ফকিরকে জানালে পরিবারে শোকের ছায়া নেমে আসে। এ বিষয়ে মোবাইলে থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করা হলে পুলিশ জানায় আটক যুবতীর পরিচয় এখনই প্রকাশ করা হবে না। প্রাথমিক তদন্ত শেষে জানানো হবে। যুবতীর বাড়ি খুলনা এলাকায় বলে প্রথম দিকে পরিচয় দিয়েছে। সূত্র বলেছে, পুলিশকে ওই যুবতী জানিয়েছে সে কাওছারের সাথেই চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় এসেছে। ২২ দিন তার সাথেই রয়েছে। তবে হত্যা না আত্বহত্যা এ বিষয়ে পুলিশ বলেছে ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলে লাশ খাদিমপুরের রসুনখালী পৌঁছুবে বলে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে পরিবারে সদস্যরা ও এলাকাবাসী জানিয়েছে, গত ২২ দিন আগে চাচাতো ভাই কবিরের কাছ থেকে মোটরসাইকেল চেয়ে নিয়ে ঝিনাইদহে বিক্রি করে ঢাকার উদ্দেশে পাড়ি জমায়। খবর পেয়ে চাচাতো ভাই কবির অবশ্য ঝিনাইদহের ওই ব্যক্তিকে ৪০ হাজার টাকা দিয়ে মোটরসাইকেলটি ফেরত পেয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। অপরদিকে কাওছার বাড়িতে ফোন করে জানান, আমি ঢাকায় আটকা আছি, আমার কিছু টাকা দরকার আমি বাড়ি আসবো। নিহতের শ্বশুর কয়েকদিন আগে ২ হাজার ৩শ ও গতপরশু নিহতের পিতা ১১ হাজার টাকা পাঠান। এদিকে পরদিন পুলিশ সকাল বেলা ঢাকা ভাটারার এক আবাসিক হোটেলের বাথরুম থেকে কাওছারের তার মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহতের পিতা হাসিবুল ইসলাম ওরফে কাটু ফকির সাংবাদিকদের কাছে বলেন, গত কয়েকদিন আগে আমার ছেলে কাওছার মোবাইলে বলেন, চুয়াডাঙ্গা শহরের কিছু লোক আগে টাকা লেনদেনের বিষয় নিয়ে হুমকি দিচ্ছে। তোমরা সাবধানে থেকো। বাড়িতে আমাকে খুঁজতে যেতে পারে। অভিন্ন তথ্য জানিয়েছে আলমডাঙ্গা ব্যুরো।