স্টাফ রিপোর্টার: প্রায় ১০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় চরমোনাই পীর মাওলানা ইসহাকের ছেলে এইমওয়ে করপোরেশনের চেয়ারম্যান সাইয়েদ রিদওয়ান বিন ইসহাকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমতি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল সোমবার দুদক এ অভিযোগপত্র অনুমোদন করে।
অভিযোগপত্র ভুক্ত অন্যরা হচ্ছেন এইমওয়ের ভাইস চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক চলচ্চিত্র ব্যবসায়ী মো. মাসুদ রানা, আলোক দিশারী ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির যুগ্ম সম্পাদক ও এইমওয়ের পরিচালক (অর্থ) মো. মশিউর রহমান এবং উপব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএম সালাউদ্দিন। এর আগে গত বছরের ১৬ জানুয়ারি দুদক এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলায় বলা হয়, দৈনিক দুই-তিন ঘণ্টা সময় আর সাথে কিছু পুঁজি খাটালেই প্রতিদিন লাভ করা সম্ভব চার লাখ টাকা- এ স্লোগান দিয়ে ৪০ হাজার লোকের কাছ থেকে ওই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোজাহার আলী সরদার রাজধানীর পল্টন থানায় বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সমবায় সমিতি আইন, সমবায় সমিতির বিধিমালা এবং সোসাইটি অনুমোদিত উপআইন লঙ্ঘন করে প্রতারণামূলক এমএলএম পদ্ধতিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে নয় কোটি ৩৪ লাখ ৬৯ হাজার ২৩১ টাকা নিয়েছেন। এর মধ্যে নয় কোটি ২৪ লাখ ৫২ হাজার ৫৮৯ টাকা অভিযুক্ত ব্যক্তিরা নিজেদের নামে এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা কোম্পানির নামে স্থানান্তরের মাধ্যমে ভোগ করেন।
এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এছাড়াও পরিবেশকদের কমিশন দেয়ার লোভ দেখিয়ে বিক্রয় চেন তৈরি করেছেন। এভাবে ২০১১ থেকে ২০১২ সালের মার্চ পর্যন্ত মোট ১২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ টাকা সংগ্রহ করেন। এরপর এইমওয়ে করপোরেশনের নামে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের হিসাব থেকে ১২ কোটি ৫০ লাখ ৫৭ হাজার টাকা অন্য হিসাবে স্থানান্তর করেন। এছাড়া আসামিরা ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার টাকা সংগ্রহ করে ব্র্যাক ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় জমা করেন। তা থেকে ১০ কোটি ৯৫ লাখ ৭০ হাজার ৭৩৬ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন হিসেবে চিহ্নিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে ওই অর্থ স্থানান্তর করা হয়েছিলো।