স্টাফ রিপোর্টার: নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জড়িত ছিলেন ৱ্যাব-১১’র তৎকালীন অধিনায়ক তারেক সাইদ ও আরেক কর্মকর্তা আরিফ হোসেন। এছাড়া অপর কর্মকর্তা এসএম রানা ওই সাতজনকে অপহরণ পর্যন্ত জড়িত ছিলেন। এ ঘটনায় অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে দেয়া ৱ্যাবের তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য দেয়া হয়েছে। এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জানান, গত ২৩ নভেম্বর ৱ্যাবের তদন্ত প্রতিবেদনটি তিনি পেয়েছেন। আগামী ১০ ডিসেম্বর এ তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে। গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম ও আইনজীবী চন্দন কুমার সরকারসহ সাতজন অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। খুনের ঘটনার পরেই আওয়ামী লীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার জামাতা তারেক সাইদ ও তার অধস্তনদের বিরুদ্ধে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্টের আদেশে প্রথমে তাদের প্রত্যাহার এবং পরে চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরনের পাঠানো হয়। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তারা সবাই এখন কারাগারে।
সাত খুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ১১ জন ৱ্যাব সদস্যসহ ২৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে ১০ ৱ্যাব সদস্যসহ ১২ জন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। ৯ জন ৱ্যাব সদস্যসহ ১৪ জন আদালতে স্বাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন।