স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াবলেছেন, দেশব্যাপি পথে-ঘাটে শুধু লাশের মিছিল। বিদ্যুত-গ্যাস-পানি নিয়েহাহাকার চারদিকে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষেরনাভিশ্বাস উঠেছে। দেশজুড়ে গণহত্যা, গুম, গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি, নিপীড়ন ও নির্যাতনের মহোৎসব চলছে।গতকাল রোববার বিএনপির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে খালেদা জিয়া এসব কথা বলেন।দলের দফতর সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত বিবৃতিটি তিনি এ কথা বলেন।তিনি বলেন, আজ দেশে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে। ৫ জানুয়ারিরতামাশার নির্বাচনের পর গণতন্ত্র এখন মৃতপ্রায়। দেশবিরোধী নানা চুক্তি ওকর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বর্তমান সরকার জাতীয় স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে চলেছে।দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।খালেদা জিয়া বলেন, ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলবিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন এবংএর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাপালন করে।তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আমাদের এইপ্রিয় দল অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করেছে। ৯ বছরের স্বৈরাচার বিরোধীগণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনেও বিএনপি রাজপথে আপসহীন অগ্রণী ভূমিকা পালনকরে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।খালেদা জিয়া বলেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অক্ষুন্ন রেখে দেশ ও জনগণেরসেবায় বিএনপি আগামী দিনগুলোতেও আরো বলিষ্ঠ ইতিবাচক ভূমিকা রাখবেইনশাআল্লাহ।তিনি বলেন, জাতীয় সম্প্রচার নীতি প্রতিরোধ করার জন্য আমিদলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং দেশবাসীকে আন্দোলন সংগ্রামের সর্বাত্মকপ্রস্তুতি গ্রহণের উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।খালেদা জিয়া বলেন, জনগণেরঅধিকার আদায়ে তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘবে এবং দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষাও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা আবারো পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপি জনগণকে সঙ্গেনিয়ে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে, চালিয়ে যাবে। এই আন্দোলন এখন জনগণেরহারানো ভোটাধিকার ও তাদের মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পূণর্বহালের জন্য।