কাবিননামায় সই করেই তো লাইসেন্স পেয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: যারা সম্প্রচার নীতির সমালোচনা করছেন তাদের ওইনীতিমালার পাশাপাশি সম্প্রচার মাধ্যমগুলোর লাইসেন্সের শর্তও পড়ে দেখারপরামর্শ দিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী আবদুল লতিফসিদ্দিকী।

তিনি বলেছেন, নিয়ন্ত্রণের জন্য নয়, জাতীয় সম্প্রচারনীতিমালা করা হয়েছে নীতিবোধতৈরি করার জন্য। গতকাল রোববার তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনেমন্ত্রী প্রশ্ন করেন, সম্প্রচারের কিসের স্বাধীনতা চান?মালিকের-লুটেরার, নাকি যেসাংবাদিকতা করছে তার বিবেক ও চেতনা অনুযায়ী বর্ণনা করতে পারার স্বাধীনতা? অনেকে না জেনেই সম্প্রচার নীতিমালার সমালোচনাকরছে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, সম্প্রচার নিয়ে যে কথা-বার্তা হচ্ছে তা শুনলে আমি হাসি।আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম তিনি পড়েছেন কি-না। তিনি কিন্তু পড়েননি।লতিফ সিদ্দিকী বলেন, কেবল নীতিমালা পড়লেই হবেনা, টেলিভিশনগুলো যেসব শর্তে লাইসেন্স পেয়েছে সেগুলোও জানা থাকতে হবে।ওরা কী কী শর্তে দস্তখত করে লাইসেন্স নিয়েছে সেই শর্তটা একবার বের করে দেখুন।ওই কাবিননামায় দস্তখত করেই কিন্তু লাইসেন্স পেয়েছে।

সম্প্রচার নীতিমালার ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ‘বিবেকেরকাছে’ দায়বদ্ধ থাকার আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এই জ্যেষ্ঠ নেতা।তিনি বলেন, নীতি কিন্তু আইন নয়। আপনার বিবেক-বিবেচনাঅনুযায়ী আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন। আপনার নীতিবোধ তৈরি করার জন্য একটি নিয়মের কথা বলা হচ্ছে।আপনি নিয়ম নাও মানতে পারেন, নিয়ম না মানলে কোনো শাস্তির ব্যবস্থা নেই, আইন না মানলেশাস্তির ব্যবস্থা আছে।সশস্ত্র বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তিক্ষুণ্ণ হয় অথবা সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ায়- এমন বিষয় প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে টেলিভিশনও রেডিওর জন্য গত ৮ আগস্ট এ নীতিমালার গেজেট প্রকাশ করে তথ্য মন্ত্রণালয়। নিয়ম অনুযায়ীওই দিন থেকেই নীতিমালাটি কার্যকর হয়েছে।