স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা তালতলা গ্রামের প্রয়াত ব্যবসায়ী আলম হোসেনের ব্যাংকের নমিনি নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। দু পক্ষের সন্তানেরা পিতার রেখে যাওয়া টাকার দাবিদার হলেও ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলেছে দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান মো. জিহাদ হোসেনকেই তার পিতা নমিনি করে গেছেন। তবে প্রথম স্ত্রীর সন্তান প্রিয়া খাতুন দাবি করেছেন আমার পিতা নির্দিষ্ট কাউকে নমিনি করে যাননি।
সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা কুঠিপাড়ার মৃত খোদা বকশের ছেলে ব্যবসায়ী আলম হোসেনের দুটি সংসার। কৃষি ব্যাংক চুয়াডাঙ্গা শাখায় তিনি একটি সঞ্চয়ী হিসাব খোলেন। তাতে ১০ লাখ ৯৫ হাজার ৩ শ ৮ টাকা রেখে গত বছরের ১৭ জুন স্ট্রোক করে মারা যান। তার প্রথম পক্ষের স্ত্রীর একমাত্র সন্তান মোছা. প্রিয়া খাতুনের অভিযোগ, ব্যাংক ম্যানেজার এএনএম এ গফুর ইতঃপূর্বে জানিয়েছিলেন তার পিতা কাউকে নমিনি করে যাননি। ফলে ওয়ারিশ যারা তারাই এ টাকার ভাগিদার হবে। কিন্তু গত ৩ মার্চ ব্যাংক ম্যানেজার কথা ঘুরিয়ে বলেন, দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তান মো. জিহাদ হোসেনকে নমিনি করে গেছেন তার পিতা।
গতকাল ব্যাংক ম্যানেজার দৈনিক মাথাভাঙ্গাকে বলেন, মৃত আলম হোসেন যেহেতু ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার নমিনি হিসেবে তার দ্বিতীয় পক্ষের সন্তান মো. জিহাদ হোসেনের নাম উল্লেখ করে গেছেন, সেই এ টাকা পাবে। তবে প্রিয়া খাতুনের অভিযোগ, ব্যাংক ম্যানেজার বিশেষ কোনো সুবিধা নিয়ে জিহাদের নমিনিপত্র নতুন করে সংযোজন করে দিয়েছেন।