জীবননগর ব্যুারো/হাসাদাহ প্রতিনিধি: মোবাইলে ডিবি দারোগার পরিচয়ে ডেকে নিয়ে রাতভর তিন বন্ধু মিলে এক নববধূকে (১৯) ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদী হয়ে তিন বন্ধুর নামে জীবননগর থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ প্রধান আসামি পুটেকে আটক করেছে। তবে অপর দুই ধর্ষক পলাতক রয়েছে। গত ২২ জানুয়ারি এ ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।
অভিযোগে জানা গেছে জীবননগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামে তিন মাস আগে কোটচাঁদপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের ওই গৃহবধূর বিয়ে হয়। এরপর ওই এলাকার কাশেম আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম পুটের (২৮) নজর পড়েন ওই নববধূ। রফিকুল ইসলাম পুটে ধর্ষিতা নববধূর মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে নিজেকে ডিবির দারোগার পরিচয় দিয়ে মোবাইলে কথা বলেন। গত মঙ্গলবার রাত ৭ টায় গৃহবধূকে মোবাইলে ডেকে নেয় পুটে। গৃহবধূ এলে পুটে তার দু বন্ধু একই পাড়ার চুন্টে ম-লের ছেলে উকুল (২৫) ও আবুল ম-লের ছেলে আফছার আলী (২৩) মিলে ওই গৃহবধূর মুখচেপে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে পালাক্রমে রাতভর তাকে ধর্ষণ করে। এদিকে স্বামী বাড়িতে ফিরে স্ত্রীকে না পেয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খোঁজাখুজি শুরু করে। ভোরের দিকে ওই গৃহবধূ অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে ফিরে আসে এবং তার স্বামীকে বিষয়টি খুলে বলে। স্বামী তার স্ত্রীর কথা শুনে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়। সুস্থ হয়ে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে জীবননগর থানায় তিনজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেন। ধর্ষণের মূলহোতা রফিকুল ইসলাম পুটেকে গত রোববার বিকেলে একটি চায়ের দোকান থেকে রায়পুর ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম আজাদ আটক করে জীবননগর থানায় সোপর্দ করে। পুটের সহযোগী ধর্ষক দু বন্ধু উকুল ও আফছার পলাতক রয়েছে বলে জানা গেছে।