মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি-খোকসা সড়কে সরকারি খাল কেটে সড়কের মাটি ভরাটের নামে ইটভাটায় মাটি বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। আমঝুপি হতে গাড়াডোব সড়কের পাশে মাটি ভরাটের জন্য মাটি কাটা হচ্ছে সরকারি খাল থেকে। ওই খাল থেকে তালগড়া, কইকুড়ি, নাতিগাড়ি ও পান্তপড়া মাঠের পানি বের হয়ে যায় পাশের কাজলা নদীতে। আমঝুপি গ্রামের উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া এই খালের মাটি কেটেই রাস্তার দুই পাশে দিচ্ছে চুয়াডাঙ্গার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আয়েশা এন্টার প্রাইজ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আমঝুপি উত্তরপাড়া থেকে খোকসা, গাড়াডোব গ্রাম পর্যন্ত রাস্তার পাশের জমি থেকেই মাটি কেটে রাস্তার পাশে দেয়া হয়েছে। খোকসা গ্রাম পার হওয়ার পর ভিন্ন চিত্র। দেখা গেছে আমঝুপি উত্তরপাড়ার শেষ প্রান্তের সরকারি খালে স্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টর ট্রলিতে নিয়ে রাস্তার পাশে দিচ্ছে। পাশাপাশি খোকসা গ্রামের এনআরবি ইটভাটায় মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোগ পাওয়া যায় শুধুই একটি ভাটাতেই না আমঝুপির বিভিন্ন ভাটায় মাটি বিক্রি করা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে খালের মাটি কাটায় পরবর্তীতে জলাবদ্ধতার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানায় স্থানীয়রা।
এভাবে খালের মাটি কাটার অনুমোদন ও বিক্রির অনুমোদনের বিষয়ে জানতে চাইলে মাটি ভরাটের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গার আয়েশা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোতালেব হোসেন জানান, আমি তো সরকারি খালের মাটি কাটছি তাতে খাল খননের কাজ হয়ে যাচ্ছে সমস্যা তো হচ্ছে না। অনুমোদনের বিষয়ে তিনি বলেন, আমি তো অনুমতি নিতে চেয়েছিলাম; কিন্তু আমঝুপি ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দীন চুন্নু বলেছেন কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা হলে সেটা আমি দেখবো। ইটভাটায় মাটি বিক্রির বিষয়ে তিনি বলেন গাড়ির মালিকরা হয়তো ভাটায় মাটি বিক্রি করতে পারে সেটা আমি জানি না।
আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দীন চুন্নুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঠিকাদারকে বলেছিলাম সরকারি খালে অবৈধভাবে মাটি কাটার অনুমোদন নেয়া না নেয়ার বিষয়ে খালের মালিক অ্যাসিল্যান্ড বা উপজেলা নির্বাহী অফিসার। তাদের সাথে অনুমোদন নিয়ে তারপর খালের মাটি কাটতে পারবেন। তাছাড়া ওখানে যে ব্রিজ আছে সেই ব্রিজের নিচে ঢালায় করা আছে সেই ঢালায় ছাড়া গভীর করে মাটি কাটলে ওখানে পানি জমবে। এখন তারা অনুমোদন নিয়েছে কিনা সেটা ঠিকাদার জানেন।
মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদুল আলম বলেন, সরকার নিজেই সারাদেশে খাল খনন করছে, মেহেরপুরের অনেক খালই খনন করা হয়েছে এবং আরও খনন করা হবে। আমার উপজেলার কোনো খালের মাটি কেটে রাস্তায় দেয়ার অনুমোদন দেয়নি। তবে অভিযোগ পেলাম তাই আমি নিজেই তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা করবো।