গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনীতে ছাত্রলীগের বিবাদমান দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনায় ৫জন আহত হয়েছেন। বিরোধ নিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের একটি তদন্ত দলের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে গাংনী হাসপাতাল বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম হোসেন (১৭), জেলা ছাত্রলীগ সদস্য সবুর হোসেন (১৭) গাংনী ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলামকে (২২) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠন করা নিয়ে বেশ কিছুদিন থেকে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা চলে আসছিলো।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে এগারটার দিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সোহান খান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান ও জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুস সামাদ বাঁধন গাংনী উপজেলা শহরে বিরোধের বিষয়ে খোঁজ নিতে আসেন। এ সময় ছাত্রলীগের ইমরান-হাসিব পক্ষের লোকজন সেন্টু-শিশির পক্ষের নেতাকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এতে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হলে অন্তত ৫ জন রক্তাক্ত জখম হয়। স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিয়ে আহত ফাহিম ও সবুজকে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং মাজেদুল ইসলামকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়।
গাংনী থানার পরিদর্শক তদন্ত সাজেদুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুনতাছির জামান মৃদুল বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে গাংনী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেষ্টনী দিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফার ওষুধের দোকানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। হাসপাতাল গেটের সামনে পৌঁছুলে ইমরান-হাসিব গ্রæপের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এ হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
তবে অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে এ বিষয়ে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহমুদ হাসিব বলেন, সেন্টু ও শিশির পক্ষ বহিরাগত লোকজন নিয়ে আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছিলো। এতে অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে।
তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের তদন্ত টিমের দুই নেতা এ ঘটনায় বিস্ময় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। অনাকাক্সিক্ষত এ ঘটনা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে আশা করা হয় না বলেও মন্তব্য করেন তারা। উভয়পক্ষকে শান্ত হয়ে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালনের আহবান জানান তারা।