মহামারির আশঙ্কা : দেশের সব মেডিকেল কলেজ ও জেলা হাসপাতালে খোলা হচ্ছে আলাদা কক্ষ

দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টে মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন : সিভিল সার্জনসহ কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দের পরিদর্শন

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পূর্ণ আলাদা (আইসোলেশন) কক্ষ ও জেলা পর্যায়ের হাসপাতালে আলাদা ওয়ার্ড প্রস্তুত করা হচ্ছে। অপরদিকে চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দেশে ফিরতে নিরুৎসাহিত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আত্মীয়স্বজন ও দেশের স্বার্থে উহানসহ চীনের করোনা ভাইরাস আক্রান্ত এলাকায় থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরতে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।’ এদিকে সিমান্তগুলোতে বসানো হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প। দর্শনা মেডিকেল ক্যাম্পে লোকবল স্বল্পতার কারণে কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। দর্শনা জয়নগর সীমান্তে বসানো মেডিকেল ক্যাম্পের কার্যক্রম গতকাল বৃহস্পতিবার তদারকি ও পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন সহ কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দরা।
দেশের মেডিকেল কলেজগুলোসহ জেলায় জেলায় বিশেষ ওয়ার্ড প্রস্তুত করার পাশাপাশি কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালে ২৫০ শয্যার পৃথক কক্ষ স্থাপন করা হচ্ছে। চীনের নাগরিকদের স্বাস্থ্য নিয়মিতভাবে পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ অন্যান্য মাধ্যমে প্রচারিত গুজবকে যথাযথভাবে সঠিক তথ্য দিয়ে জবাব দেয়ার বিষয়টিও রয়েছে। এরই মাঝে গতকাল স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রেসব্রিফিঙে চীনা নাগরিকদের সম্পর্কে তিনি বলেন,‘চীনা নাগরিকদের বাংলাদেশে আসতে হলে ভিসা নেয়ার পাশাপাশি মেডিকেল সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। এছাড়া অনঅ্যারাইভ্যাল ভিসা বন্ধ করা হয়েছে সাময়িক সময়ের জন্য।’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কাউকে শনাক্ত করা হয়নি। হাসপাতাল, চিকিৎসক, নার্স প্রস্তুত। করোনাভাইরাস দেখা দিলে তা ছড়িয়ে যাওয়া রোধে সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’ এসময় মাস্ক ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সুস্থ ব্যক্তির এ মুহূর্তে মাস্ক পরার কোনো প্রয়োজন নেই।’ প্রায় এক মাস আগে চীনে নতুন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে ২৬টির বেশি দেশে। চীন থেকে আর কোনো বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত আনা হবে না বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. জাহিদ মালেক। তবে কেউ অসুস্থ হলে সে দেশেই চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। গতকাল বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। অপরদিকে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হক চুন্নু উদ্বেগ প্রবেশ করে বলেছেন, গত ১ ফেব্রæয়ারি চীনের সাউদান এয়ারলাইন্সের দেড়শ যাত্রী হজরত শহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কোনো রকম পরীক্ষা ছাড়াই বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তিনি এ অভিযোগ জরুরি ভিত্তিতে তদন্তের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে জাতীয় সংসদে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বিবৃতি প্রদানের আহ্বান দাবি জানান। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি দেশবাসীকে আশস্থ করেন, যারা বিনা পরীক্ষায় প্রবেশ করেছে তাদের শরীরে যে করোনাভাইরাস নেই, কে নিশ্চিত করবে? সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, করোনাভাইরাস প্রসঙ্গে চীন সরকার প্রতিরোধ ব্যবস্থা করেছে যেন ভাইরাসটা দেশের বাইরে না আসতে পারে। এটি এমন একটি ভাইরাস সারা পৃথিবীব্যাপী মানুষ আতঙ্কিত। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা করোনা নিয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন এবং সদস্য দেশগুলোকে এ বিষয়ে সর্তক থাকতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীও বিষয়টি নিয়ে সমস্ত রাষ্ট্র যন্ত্রকে সাবধান থাকতে বলেছেন। তারপরেও কি করে বিনা পরীক্ষায় যাত্রী দেশে প্রবেশ করলো? এসময় তিনি কয়েকটি পত্রিকার রিপোর্ট ও এক যাত্রীর ফেসবুক স্ট্যাটাস তুলে ধরে বলেন, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনাভাইরাস শনাক্তে গাফিলতি। প্রয়োজনী ডাক্তার না থাকায় রাতে বেশ কিছু যাত্রী পরীক্ষা ছাড়াই দেশে প্রবেশ করেছে। তিনি বলেন, চীন থেকে ইউএসবাংলা, চায়না স্টার ও চায়না সাউদান এয়ারলাইন্স প্রতিদিন প্রায় ৭০০ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় আসে। চায়না সাউদান এয়ারলাইন্সে আসা এক যাত্রী মুশফিকা সারা তার ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছে গত পয়লা ফেব্রæয়ারি প্রায় ১৫০ যাত্রী কোন পরীক্ষা ছাড়াই দেশ প্রবেশ করেছে। ওই যাত্রী অভিযোগ করেছেন বিমানবন্দরে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করার পরেও তাকেসহ বাকি ১৫০ জনের স্বাস্থ্যপরীক্ষা ছাড়াই প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে। এমনকি যে ফরম দেয়া হয়েছে ওই ফরমে আগে থেকেই ওকে লেখা রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন আমাদের শরীরে যে করোনাভাইরাস নেই কে দেখবে? মুজিবুল হক বলেন, বিমানবন্দরের এই গাফিলতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেয়ার পরেও অমান্য করে বিমানবন্দরে ডাক্তারে অভাবে চেক করলো না। তাদের কারো শরীরে করোনাভাইরাস থাকলে সারাদেশে মহামারি হয়ে যাবে। তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রীকে বিষয়টি জরুরি ভিত্তিতে তদন্ত করার দাবি জানান।
এদিকে, এ ভাইরাসের সংক্রমণ আরও কতটা ব্যাপকভাবে ছড়াতে পারে এবং কত মানুষ এতে আক্রান্ত হতে পারে, তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। এখনো এটিকে বিশ্ব মহামারি বলে ঘোষণা করা হয়নি। তবে বিশ্বকে এই করোনা ভাইরাসের মতো এক মহামারির মুখোমুখি হতে হবে এমন আশঙ্কায় কর্মকর্তারা এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। একই সময়ে যখন বিশ্ব জুড়ে বহু দেশের মানুষ কোনো সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়, তখন একে বিশ্ব মহামারি বলে বর্ণনা করা হয়। এর সাম্প্রতিক একটি উদাহারণ হচ্ছে ২০০৯ সালের সোয়াইন ফ্লু। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ঐ বিশ্ব মহামারিতে শত শত মানুষ মারা গেছে। নতুন কোনো ভাইরাস, মানুষ সহজেই যেটির সংক্রমণের শিকার হয় এবং যা মানুষ থেকে মানুষে ছড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিস্তৃতি লাভ করে, এ অবস্থাকে তখন বিশ্ব মহামারি হিসেবে বলা হয়। করোনা ভাইরাসের বেলায় এই সবগুলো বৈশিষ্ট্যই দেখা যাচ্ছে। এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মূল্যায়নে ঝুঁকির মাত্রা চীনে অতি উচ্চ, পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে উচ্চ এবং সারা বিশ্বে উচ্চ মাত্রার। সংস্থার পরিবেশিত তথ্যে জানা যায়, এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে ২০ হাজার ৬৩০ জন নিশ্চিত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ২৪১ জন। এদের মধ্যে মারাত্মক অবস্থায় আছে ২ হাজার ৭৮৮ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে ৪৯০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছে ৬৩ জন। চীনের বাইরে নিশ্চিত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত আছে ২৬টি দেশের ১৫৯ জন।
গতকাল রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) এক সংবাদ সম্মেলনে জানায়, আশকোনা কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রের সাতটি ডরমেটরিতে চীনফেরত যাত্রীগণ অবস্থান করছেন। চিকিৎসা ও নার্সিং সেবা কার্যক্রমে সেনা কর্তৃপক্ষের মেডিকেল সার্ভিস সহায়তা দিচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা সব ওষুধ সরবরাহ করছে, জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে ওষুধ কেনা হচ্ছে। সামরিক বাহিনীর মিলিটারি পুলিশ কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। এ উদ্দেশে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ৩০ শয্যার সম্পূর্ণ আলাদা শাখা খোলা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনে অবস্থিত বাংলাদেশের নাগরিকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। এদিকে আশাকোনা কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে চীনের উহান থেকে আগতদের মধ্য থেকে জ্বরে আক্রান্ত এক শিশুকে বাবা-মাসহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। আইইডিসিআরের পরিচালক প্রফেসর ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য তুলে ধরেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক প্রফেসর ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী।
চীনের জাতীয় পরিস্থিতি তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চীনের সব রোগীর মধ্যে ৯৭ শতাংশ হুবেই প্রদেশের। রোগীদের মধ্যে ৮০ শতাংশই ৬০ বছরের বেশি বয়সি, ৭৫ শতাংশ রোগী অন্যান্য রোগেও আক্রান্ত, মৃত্যুবরণকারীদের দুই-তৃতীয়াংশ পুরুষ। চীনের উহানফেরত বাংলাদেশিদের অভিভাবকদের যেকোনো প্রশ্নের জবাব দেবে আইইডিসিআর। এখন থেকে প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে নিয়মিতভাবে এই কার্যক্রম চলবে। প্রমোদতরির ১০ যাত্রী আক্রান্ত: জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে নোঙর করা একটি প্রমোদতরির অন্তত ১০ জন প্রাণঘাতী নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামের ঐ প্রমোদতরির ৩ হাজার ৭০০ আরোহীর মধ্যে প্রায় ৩০০ জনকে পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা অব্যাহত থাকায় আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। যে ১০ জনের শরীরে ভাইরাসটি ধরা পড়েছে, তাদের সবার বয়স পঞ্চাশোর্ধ্ব বলে জানিয়েছে জাপানি গণমাধ্যম। আক্রান্তদের জাহাজ থেকে নামিয়ে মেডিকেল সংস্থাগুলোতে পাঠানো হচ্ছে।
গতকাল বেশ ক’টি গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, চীনের নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২৪ হাজার ৫৮৯ জন মারা গেছে বলে নতুন তথ্য ফাঁস হয়েছে। দেশটির শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানি ‘টেনসেন্ট’ -এর ওয়েবসাইটে এমন তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। এতে আরও এক লাখ ৫৪ হাজার মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অসতর্কতার কারণে এমন তথ্য প্রকাশ হয়ে থাকতে পারে বলে কেউ কেউ দাবি করছেন; তবে অনেকেই বলছেন, এটিই প্রকৃত সংখ্যা। যদিও চীনের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৬৩ জন সংবাদমাধ্যম ‘তাইওয়ান নিউজ’ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, মনে হচ্ছে, অসতর্কভাবে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে টেনসেন্ট। প্রকাশিত সংখ্যা এ ভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণের সরকারি পরিসংখ্যানের চেয়ে অনেক বেশি।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, করোনা ভাইরাস বিশ্বজুড়ে সৃষ্টি করেছে চরম আতঙ্ক। চীনে এ ভাইরাসে মৃত্যু সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও এ ভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। সীমান্তগুলোতে বসানো হয়েছে মেডিকেল ক্যাম্প। দর্শনা মেডিকেল ক্যাম্পে লোকবল স্বল্পতার কারণে কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। দর্শনা জয়নগর সীমান্তে বসানো মেডিকেল ক্যাম্পের কার্যক্রম তদারকি ও পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনসহ কর্মকর্তা ও নেতৃবৃন্দরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলের সদস্য জয়নগর চেকপোস্টের মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি ডা. নিশাত তাছনিম, দর্শনা বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার নায়েব সুবেদার জহির উদ্দিন, জয়নগর চেকপোস্ট কমান্ডার নায়েব সুবেদার আ. করিম, দর্শনা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক আরিফ প্রমুখ। পরিদর্শনকালে ডা. এএসএম মারুফ হাসান বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এ সীমান্ত ক্যাম্পে লোকবল বাড়ানোসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।