মোবাইল ট্র্যাকিং করে আলমডাঙ্গা পাইকপাড়ার কলেজছাত্র সোহাগকে আটক

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আইজি ডিআইইজি ও এসপির কাছে মেসেজ পাঠিয়ে গ্রামবাসীর হয়রানি
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজি, ডিআইইজি ও এসপির কাছে মিথ্যা মেসেজ পাঠিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করার অভিযোগে আলমডাঙ্গার পাইকপাড়ার সোহাগ আলী নামের এক কলেজছাত্রকে আটক করেছে পুলিশ। সে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে গ্রামের সাধারণ মানুষের নামে সিম তুলে সেই সিমকার্ড ব্যবহার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ পদস্থদের নিকট মিথ্যা মেসেজ পাঠাতো। অন্যের নামে সিম তুলে ব্যবহার করায় তাকে মোবাইল ট্র্যাকিং করে আটক করা যাচ্ছিলো না। শেষ পর্যন্ত সোহাগ আলীকে শনাক্ত করে গ্রেফতারের ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনে কিছুটা স্বস্তি ফিরলো।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গার পাইকপাড়া গ্রামের কুঠিপাড়ার রিকাত আলী মেম্বারের ছেলে সোহাগ আলী (২৪) আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের বিএ ক্লাসের ছাত্র। গতকাল ২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ বাড়ি থেকে আটক করে। আলমডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদের নেতৃত্বে এসআই জিয়া, এসআই একরামুল, এএসআই হামিদ, এএসআই মোস্তফা সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে সোহাগকে।
পুলিশ জানিয়েছে, আটক সোহাগ আলী খুবই ধুরন্ধর প্রকৃতির। সে প্রায় ২ বছর ধরে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার নিকট গ্রামের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ মেসেজ করে হয়রানি করে আসছিলো। কারও বিরুদ্ধে বাড়িতে অস্ত্র রাখার, কারও বিরুদ্ধে বোমা রাখার, আবার কারও বিরুদ্ধে মাদকব্যবসা করার মিথ্যা অভিযোগ লিখে মোবাইলফোনের মাধ্যমে তা মেসেজ করে পাঠাতো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজি, ডি আইজি, এসপির মোবাইলফোনে। দীর্ঘদিন ধরে তার কারণে সাধারণ গ্রামবাসী পুলিশ প্রশাসনের হাতে নাজেহাল হয়ে আসছিলো। এ সকল অভিযোগ যে সবই মিথ্যা তা বুঝতে মোটেই দেরি হয়নি পুলিশের। আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আবু জিহাদ খান জানান, তার কারণে শুধু গ্রামের সাধারণ মানুষই হয়রানি হতো না, পুলিশও বিভ্রান্ত হতো। কিন্তু তাকে শনাক্ত করে আটক করা সহজ ছিলো না। কারণ এই প্রতারক গ্রামের বিভিন্ন ব্যক্তির নামে সিমকার্ড তুলে সেই সিমকার্ড ব্যবহার করে মেসেজ পাঠাতো। তার সিম ট্র্যাকিং করে বার বার পুলিশ প্রশাসন বিভ্রান্ত হচ্ছিলো। সাথে নাজেহাল হচ্ছিলো গ্রামের সাধারণ মানুষ। এরই এক পর্যায়ে সম্প্রতি সোহাগ নিজের সিম ব্যবহার করে মেসেজ পাঠায়। এই ঘটনায় কাল হলো তার। পুলিশ ট্র্যাকিং করে তার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে গতকাল ২ এপ্রিল রাত সাড়ে ৯টায় তাকে আটক করে। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় তাকে হস্তান্তর করা হয়।