আলোর মানুষে ভূষিত হলেন হাজি আব্দুল্লা শেখ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা লেখক সংঘের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজিত অনুষ্ঠানে হাজি আব্দুল্লা শেখকে ‘আলোর মানুষ’ উপাধীতে সংবর্ধিত করা হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় তাকে এ সম্মাননা দেয়া হয়। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা অফিসার্স ক্লাবে সম্মাননা অনুষ্ঠানে হাজি আব্দুল্লা শেখকে উত্তোরী পরিয়ে দেন অতিথিবৃন্দ। হাজি আব্দুল্লা শেখ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নদীয়া জেলার হাসখালী থানার খামার শীমলা গ্রামে ১৯৫৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা তেতুল শেখ ও মাতা ছাদেমান নেছা। পরবর্তীতে ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের পর অন্যান্য অনেকের মতোই তার পরিবার তৎকালীন সময়ের প্রেক্ষিতে দেশ ত্যাগ করে পূর্ববঙ্গ তথা কুষ্টিয়া জেলার চুয়াডাঙ্গা মহাকুমার সরোজগঞ্জ জলিবিলা গ্রামের এসে বসবাস শুরু করেন। শিক্ষায় বেশি দূর নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেননি। কিন্তু জ্ঞান পিপাসূ হাজি আব্দুল্লা শেখ এলাকায় শিক্ষার লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের সুশিক্ষা অর্জন ও সুপ্ত প্রতিভা বিকাশ ঘটিয়ে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এবং শিক্ষাকে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে ১৯৯৭ সালে নিজস্ব জমি ও অর্থে এলাকার সর্বস্তরের জনগণের সাথে নিয়ে নারী শিক্ষার প্রসারের জন্য মেয়েদের স্বতন্ত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। নিজের মায়ের নামে যা এলাকার একমাত্র নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। পরবর্তীতে ২০১১ সালে পিতার নামে তেতুল শেখ নামকরণ করে গড়ে তোলা হয়েছে একটি কলেজ। এছাড়াও হাজি আব্দুল্লা শেখ একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন সংগঠনে শীর্ষ পদে থেকে আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এ ব্যক্তিকে চুয়াডাঙ্গা লেখক সংঘ ‘আলোর মানুষ’ হিসেবে ভূষিত করলো।