ড্রেজিং মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনকারী জনি আটক : মুচলেকায় মুক্তি

দামুড়হুদায় আবাদি জমি বাঁচাতে ইউএনও’র ঝটিকা অভিযান : ৫টি ট্রাক্টরের চাকা পাঙচার

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদায় আবাদি জমি বাঁচাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জরুরি পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী বেশ কয়েকজন পালিয়ে যায়। ড্রেজিং মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী জনি নামের একজনকে আটক করা হয়। পরে অবৈধভাবে আর বালু উত্তোলন করবে না এবং এক সপ্তাহের মধ্যে ড্রেজিং মেশিনটি উপজেলা প্রশাসনের কাছে জমা দেয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতিতে জনিকে মুচলেকায় ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়া বালু-মাটিবহন করা ৫টি ট্রাক্টরের চাকা গজাল মেরে পাঙচার করা হয়েছে। ড্রেজিং মেশিনের ইঞ্জিনে বালু ঢেলে দেয়ায় অকেজো অবস্থায় ড্রেজিং মেশিনটি বর্তমানে মাঠেই পড়ে আছে। গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান চিৎলা গুচ্ছগ্রামের মাঠে পুলিশ সাথে নিয়ে ঝটিকা অভিযান পরিচালনা করেন। এ দিকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ায় জেলা প্রশাসকসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার ভুক্তভোগী সচেতন মহল।
উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রথম পাতায় দামুড়হুদার পুরো উপজেলা জুড়েই চলছে ফসলি জমির মাটি কাটার মহোৎসব-আবাদি জমি বাঁচাতে ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ শিরোনামে একটি সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। চালানো হয় ঝটিকা অভিযান। ঝটিকা অভিযান পরিচালনাকালে প্রশাসনের লোকজন দেখে বালু বহনকারী ট্রাক্টরের চালকসহ বেশ কয়েকজন লেবার ট্রাক্টার ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ৫টি ট্রাক্টরের চাকায় গজাল মেরে পাঙচার করা হয়। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসান বলেছেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। তিনি জনগণের উদ্দেশে বলেন, যেখানেই বালু উত্তোলন করতে দেখবেন ট্রাক্টর আটকিয়ে আমাকে খবর দিবেন। তিনি আরও বলেন, ইটভাটায় মাটির জন্য নদী থেকে বালু-মাটি দেয়া হবে। ইতোমধ্যেই দুটি ইটভাটায় নদী থেকে মাটি কেটে নিয়ে ব্যবহার করছে। অন্যান্য ভাটা মালিকরাও আবেদন করলে তাদের অনুমতি দেয়া হবে।