জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই সফল : স্বপ্ন এখন এলাকাবাসীর ভাগ্যের উন্নয়ন

ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়নে অন্যতম যোদ্ধা প্রফেসর ডা. মেহেদী আসন্ন নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী

স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্রজীবনে শুধু মেধাবী শিক্ষার্থীই ছিলেন না, তখন তিনি তুখোড় ছাত্রনেতা। সেবার ব্রত নিয়ে নিজেকে চিকিৎসক পেশায় শামিল হয়ে নিজেকে শুধু চিকিৎসক হিসেবে সীমিত রাখেননি। চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণায় মেতে একের পর এক সাফল্য বয়ে আনা এ মানুষটির নাম প্রফেসর ড. মাহবুব হোসেন মেহেদী। তিনি জীবনের বাকি দিনগুলো এলাকাবাসীর পাশে থেকে জনসেবার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে হাটতে শুরু করেছেন। এরই অংশ হিসেবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের সারিতে দাঁড়াতে চলেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী ছাত্রজীবনে ১৯৬৯ সালে চুয়াডাঙ্গা কলেজ ছাত্রলীগের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নকালে ছাত্রলীগের শুধু সভাপতিই ছিলেন না, মেডিকেল কলেজের ভিপি হিসেবেও নির্বাচিত হয়ে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্বপালন করে নিজের ঔজ্জ¦ল্য মেলে ধরেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি সরাসরি অংশ নেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মেহেদী ১৯৮০ সালে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার হিসেবে যোগদানের মধ্যদিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। বিএমএ প্রতিষ্ঠালগ্নে তৎকালীন চুয়াডাঙ্গা মহাকুমা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক হন। কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ২০১৩ সালে ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধান ও অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় অবসর গ্রহণ করেন। স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা তিনি। সাপ্তাহিক বাংলার একুশ’র প্রধান সম্পাদক ও নিউজ স্টারের এক্সকিউটিভ এডিটর হিসেবে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি মাদার তরেসা মেমোরিয়াল সোসাইটি অব বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান, সেন্ট্রাল ফর হিউম্যান রাইট অ্যান্ড সোসাল ডেভলপমেন্টসহ বহু সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি।
চুয়াডাঙ্গা তালতলার মরহুম মোরাদ হোসেন ও মরহুমা হাজেরা মোরাদের ছেলে প্রফেসর ডা. মাহবুব হোসেন মেহেদী ঢাকাস্থ বাংলাদেশ অর্থোপেডিক. ট্রমা. স্পাইন সেন্টার ও রিসার্স সেন্টার এবং প্লাজমা মেডিকেল সার্ভিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল রিসার্স সেন্টারের চেয়ারম্যান। পারিবারিক জীবনেও স্বার্থক। স্ত্রী মালেকা পারভিন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক। একমাত্র ছেলে মানির তানভিরই মাহবুব একজন ব্যারিস্টার। দু’মেয়েই প্রকৌশলী। স্বামী সংসার নিয়ে আমেরিকায় বসবাস করেন। ছোট মেয়ে ও জামাই দুজনই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসায় কর্মরত। একান্ত আলাপচারিতায় তিনি বলেছেন, ছোট বেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। রাজনীতি সাধারণ মানুষের ভাগ্য বদলের জন্যই। মনোনয়ন প্রত্যাশা মানে নিশ্চয় বিভেদ নয়, পার্টি যাকেই মনোনিত করবে আমরা তাকেই নির্বাচিত করার লক্ষ্যে সর্বসম্মতভাবে চেষ্টা করবো। তবে মনে রাখতে হবে, আমার রাজনীতি মনোনয়ন নিয়ে ভোট করা নয়, সব সময়ই সাধারণ মানুষের পাশে থেকে জননেত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বাস্তবায়ন করা। সকল নেতানেতৃ ও কর্মীর ওপর আমার সব সময়ই আস্থা ছিলো, রয়েছে। সকলকে সাথে নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন আমার দু’চোখ জুড়ে।