আলমডাঙ্গা ব্যুরো: থানা পুলিশের নিকট মুচলেকা দিয়ে বাড়ি ফিরেছে অপ্রাপ্ত বয়স্ক বর, কনের পিতা ও কাজি জহুরুল ইসলাম। গতকাল শুক্রবার সকালে থানায় এসে অঙ্গীকার করে যায় তার।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকী ইউনিয়নের বিনোদপুর গ্রামের ইসলামের ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে ইসমাতারা খাতুনের সাথে পার্শ্ববর্তী বক্সীপুরের মিলনের অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে রিংকুর বিয়ে ঠিক হয়। গত বৃহস্পতিবার ছিলো বিয়ের দিন। রাতে বরযাত্রীসহ বর পৌঁছে কনের বাড়ি। অভয়নগর গ্রামের মইজ উদ্দীন মৃধার ছেলে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাজি জহুরুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি জানতে পেরে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেনের নির্দেশে জামজামি ক্যাম্পের আইসি এসআই পিয়ার আলী ছুটে যান কনের বাড়ি। সংবাদ পেয়ে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর আলীও ছুটে যান বিয়ে বাড়ি। তারা বাল্যবিয়ে পড়াতে নিষেধ করেন এবং পরদিন সকালে বর, কনের পিতা ও কাজিকে থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। পরদিন সকালে অর্থাৎ গতকাল শুক্রবার তারা নির্দেশ মোতাবেক থানায় অফিসার ইনচার্জের অফিসে হাজির হন। সে সময় বর রিংকু, কনের পিতা ও কাজি লিখিত মুচলেকায় স্বাক্ষর করে বাড়ি ফেরেন। বর রিংকু ভবিষ্যতে কোনো অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে না করার, কনের পিতা ইসলাম অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে বিয়ে না দেয়ার ও কাজি জহুরুল ইসলাম ভবিষ্যতে আর বাল্যবিয়ে না পড়ানোর অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য, কাজি জহুরুল ইসলাম এলাকায় ‘বাল্যবিয়ের কাজী’ নামে খ্যাত। ইতঃপূর্বে একাধিকবার বাল্যবিয়ে পড়াতে গিয়ে অতিরিক্ত অর্থ আদায়কালে বিতণ্ডায় জড়িয়ে তিনি মারধরও খেয়েছেন বলে এলাকায় অভিযোগ রয়েছে।