আলমডাঙ্গার হাঁপানিয়ায় ঈদের জামায়াত শেষে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় একজন গ্রেফতার

নিহত জয়নালের জবানবন্দিতে ৮ জনের নাম উল্লেখ

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: ঈদের নামাজ শেষে আলমডাঙ্গার হাঁপানিয়া গ্রামে আওয়ামী লীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনার আশরাফকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল থানা পুলিশ হাঁপানিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে। আশরাফ হাঁপানিয়া গ্রামের সিরাজউদ্দিনের ছেলে।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন জানান, ঈদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে জয়নাল নামের এক কৃষক গুরুতর আহত হন। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ সময় তার চিকিৎসক কনসালটেন্ট সার্জারি আরিফ হাসান নিহত জয়নালের মৃত্যুকালীন জবানবন্দী রেকর্ড করেন। নিহত জয়নাল তার মৃত্যুর আগে ৮ জনের নাম উল্লেখ করেন। তিনি জবানবন্দিতে বলে যান, ৮ জন তাকে ও তার অন্যান্য সমর্থকদের হত্যার উদ্যেশে কুপিয়েছে।

ঈদের জামায়াত শেষে হাঁপানিয়া গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এমদাদ মেম্বার ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেনের ছোট ভাই মন্টুর সমর্থকদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে মন্টু গ্রুপের সদস্য জয়নাল আবেদীনসহ উভয়পক্ষের ১৩-১৪ জন রক্তাক্ত জখম হয়। গুরুতর আহত জয়নালকে প্রথমে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে ঢাকায় নেয়া হয়। দুইদিন পর জয়নাল আবেদীন মারা যান। সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ২৮ জনের নামোল্লেখ করে থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় থানা পুলিশ আশরাফসহ মোট ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে।