এক বিল পাহারাদারকে বেদম মারপিট করেছে ডাকাতদল?

চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপি এলাকায় পুলিশ-গ্রামবাসীর যৌথ টহল

বেগমপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা সদরের গড়াইটুপি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাই বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরাধমূলক কর্মকা- রোধে পুলিশ-গ্রামবাসী যৌথ টহল দিচ্ছে। এরই মধ্যে তেঘরি গ্রামের জাহাঙ্গীর নামের এক বিল পাহারাদারকে বেদম মারপিট করেছে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীরা। ফলে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষের মধ্যে।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত গড়াইটুপি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে বিশেষ করে কলাগাছি, তেঘরি ও বাটিকাডাঙ্গা গ্রামে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। এসব প্রতিরোধে ১৫ দিন আগে থেকে পুলিশ প্রশাসনে নির্দেশে রাত পাহারার ব্যবস্থা শুরু হয়। এর মধ্যেও বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে তেঘরি গ্রামের রেজাউলের বাড়িতে। রাত পাহারা থাকা স্বত্বেও ডাকাতির ঘটনায় নতুন করে ভাবিয়ে তোলে এলাকাবাসীকে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকেই স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন এবং গ্রামবাসী যৌথভাবে টহল শুরু করে। টহল চলা অবস্থায় তেঘরি গ্রামের হাশেমের ছেলে জাহাঙ্গীর বিল পাহারা দিতে যায় একই গ্রামের জনৈক হরনের। বিল পাহারা অবস্থায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অজ্ঞাত ৪ জন এসে বিলের ধারে জাহাঙ্গীরকে (৩৫) লাঠি দিয়ে বেদম মারপিট করে দুষ্কৃতীরা। জাহাঙ্গীর বিলের ধার থেকে পলিয়ে এসে গ্রামে আশ্রয় নেয়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় পল্লিচিকিৎসকের নিকট নেয়া হয়।
সুস্থ হয়ে জাহাঙ্গীর পুলিশ এবং গ্রামবাসীকে জানায়, দুর্বৃত্তরা যখন তাকে মারপিট করে তখন তারা বলতে থাকে তোর লাইট মারার কারণে আমরা গ্রামে ঢুকতে পারি না। আগে তোর ব্যবস্থা করে নেয়। বৃহস্পতিবার তেঘরি গ্রামে ডাকাতির পরের দিন বিলপাহাদারকে মারপিটের ঘটনায় গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, কলাগাছি, তেঘরি এবং বাটিকাডাঙ্গা গ্রামগুলো ঝিনাইদহ জেলার কোলঘেঁষা। যার কারণে অপরাধীরা অপরাধ সংঘটিত করেই খুব সহজেই চুয়াডাঙ্গার জেলা সীমানা পার হয়ে যায়। তাই বিলপাহারা দেয়ার সময় টর্চলাইট মারলে ডাকাতদলের গ্রামে ঢুকতে অসুবিধা হওয়ায় জাহাঙ্গীরকে মারপিট করে আতঙ্ক ছড়িয়েছে তারা। এদিকে তিতুদহ পুলিশ ক্যাম্পে একজন পুলিশ অফিসার নিয়োগের দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।

Leave a comment