চাঁদাবাজি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ : রতন জেলহাজতে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার স্থানীয় একটি পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক রুহুল আমিন রতনকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চাঁদাবাজি মামলায় জামিন নিতে গেলে আদালতের বিচারক ড. এবিএম মাহমুদুল হক জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলাসূত্রে জানা গেছে, পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ ছাপানোর ভয় দেখিয়ে মেহেরপুর সদর উপজেলার মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলামের কাছে গত ৮ মার্চ মোটা অঙ্কের চাঁদা দাবি করে দৈনিক আমাদের সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক রুহুল আমিন রতন। চাঁদার টাকা না দিলে পত্রিকায় সিরিজ রিপোর্ট ছাপানোর ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরদিন রাত ৮টার দিকে চাঁদার টাকা আদায়ের সময় শহরের শ্রীমন্ত টাউন হলের সামনে থেকে শাদা পোশাকে পুলিশ সদস্যরা শুভ নামে রতনের এক সহযোগীকে চাঁদার টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। এ সময় পালিয়ে রক্ষা পায় সম্পাদক রুহুল আমিন রতনসহ ৩ জন। এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় চাঁদাবাজি আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার পরপরই গ্রেফতার এড়াতে চুয়াডাঙ্গা থেকে আত্মগোপন করেন সম্পাদক রুহুল আমিন রতন। দীর্ঘদিন পলাতকের পর চাঁদাবাজির এই মামলায় সম্পাদক রুহুল আমিন রতন সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালতের বিচারক ড. এবিএম মাহমুদুল হক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

উল্লেখ, রুহুল আমিন রতনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ নানা অনৈতিক কাজের অভিযোগ দীর্ঘদিন। জেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তাদের কাছে চাঁদা না পেয়ে কাল্পনিক অভিযোগ এনে পত্রিকায় ভুয়া রিপোর্ট করার অভিযোগের পাশাপাশি তার নামে প্রায় ১০টি মামলা রয়েছে।