মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি

চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী সমাজের দোয়া ও আলোচনাসভায় কেন্দ্রীয় আমির

 

স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামী সমাজের আমির হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতের অন্ধকারে পাকিস্তানের স্বৈরাচারী প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার নির্দেশে পাকহানাদার বাহিনী আমাদের দেশের সাধারণ নিরস্ত্র জনতার ওপর পৈশাচিক আক্রমন চালিয়ে গণহত্যা শুরু করে, যার কারণে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র লড়াই ও সংগ্রাম শুরু হয়। তিনি গতকাল চুয়াডাঙ্গা শ্রীমান্ত টাউনহলে আয়োজিত আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। এ সময় হযরত সৈয়দ হুমায়ূন কবীর আরও বলেন দেশবাসীর সক্রীয় সমর্থন ও সহযোগিতায় মুক্তিযুদ্ধাদের জানবাজি রেখে দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র লড়াই ও সংগ্রামের ফলেবহু রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে পাকহানাদার বাহিনীর নির্যাতন ও শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে আমরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করি। কিন্তু দেশ স্বাধীনের ৪৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও শোষণমুক্ত সমাজ গঠন হয়নি, মানুষের জীবনে সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি, যার কারণে সাধারণ মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে আজ ও বঞ্চিত। তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামের পরিবর্তে মানব রচিত ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত থাকায় জাতির মানুষ স্বাধীনতার সুফল থেকে বঞ্চিত হয়ে দুর্ভোগ ও অশান্তিতে দিন কাটাচ্ছে। তিনি বলেন, মানুষের নয়! সার্বভৌমত্ব, একমাত্র আল্লাহর এ মহাসত্যের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্য গঠনের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় ইসলামের আইন-বিধান প্রতিষ্ঠা করেই স্বাধীনতার সুফল মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছিয়ে দিতে হবে। গণতন্ত্রের জোট, ভোট ও নির্বাচন কিংবা উগ্রতা ও জঙ্গীতৎপরতা এ দুটোর কোনোটাই ইসলাম প্রতিষ্ঠার পদ্ধতি নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, আল্লাহর নির্দেশিত ও তাঁরই রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা.) প্রদর্শিত পদ্ধতিতেই ইসলাম প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত চেষ্টা করাই সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইমানী, নৈতিক ও মানবিক দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই লাভ হবে আল্লাহর ক্ষমা ও চিরসূখের স্থান জান্নাত। ইসলামী সমাজের নেতা ও কর্মীগণ একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠায় ঈমানদার সৎকর্মশীল হওয়ারই আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দলমত নির্বিশেষে সকলকে তিনি ইসলামী সমাজে শামিল হয়ে সমাজ ও রাষ্ট্রে ইসলাম প্রতিষ্ঠার ঈমানী ও নৈতিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। চুয়াডাঙ্গা জেলা দায়ীত্বশীল মুহাম্মাদ আবু শামার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত দোয়া ও আলোচনাসভায় আরও বক্তব্য রাখেন মুহাম্মাদ সুলায়মান কবীর, ছাইফুল ইসলাম ও ছাদিকুল ইসলাম ছাদিক প্রমুখ।