চুয়াডাঙ্গার আকন্দবাড়িয়ায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের অভিযান : ফেনসিডিল উদ্ধারের নামে ঘরবাড়ি তছনছসহ শ্লীলতাহানির অভিযোগ

 

 

দর্শনা অফিস: গোটা জেলা মাদকমুক্তকরণের লক্ষ্যে যখন চুয়াডাঙ্গা বিজিবি-পুলিশ সোচ্চার ভূমিকায় রয়েছে, তখনো মাদককারবার করতে বাধ্য করানোর পাঁয়তারায় নেমেছে প্রশাসনের কোনো কোােন কর্মকর্তা। মাদক কারবার ছাড়ার উপায় নেই, কারবার করো বা না করো নোট গুনতে হবেই হবে এমনই অবস্থায় পরিণত হয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে নিরীহ পরিবারের বাড়ি-ঘর তছনছ করার ও নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যদের বিরুদ্ধে। গতপরশু মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য অধিদফতরের ইন্সপেক্টর বিশ্বাস মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই আকবর হোসেন, সিপাহী আ. রশিদসহ বেশ কয়েকজন সদস্য মাদকবিরোধী অভিযান চালান চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়ার গাংধারপাড়ার ইকরামুল, হায়দার, আমিরুল, কায়দার, মান্নান ও খোরশেদের বাড়িতে। এ অভিযানে কোনো প্রকার মাদকদ্রব্য না পেয়ে ইকরামুলের বাড়ির সবকটি ঘর তdarsana-pic-3ছনছ করা হয়। আসবাবপত্র উল্টে-পাল্টেও সন্ধান মেলেনি মাদকের। এ সময় আ. সাত্তারের স্ত্রী রোকসানা খাতুনকে গোটা গ্রাম ধাওয়া করা হয়েছে। একপর্যায়ে রোকসনাকে ধরে পরনের কাপড় ছিঁড়ে দিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সদস্যরা। রোকসানা অভিযোগ করে বলেন, তিনি এ গ্রামে আত্মীয় বাড়িতে বেড়াতে এসে এ লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন। তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

গ্রামবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, মাদককারবারের সাথে ইকরামুলের সম্পৃক্ততা থাকলেও বাড়িতে সে এ কারবার কখনো করে না। তাছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের কথিত ক্যাশিয়ার এএসআই আকবরকে প্রায় দিনই টাকা আদায়ের জন্য এ গ্রামে মাদককারবারীদের বাড়ি বাড়ি ছুটতে দেখা যায়। দৈনিক, সপ্তাহিক, পাক্ষিক কিংবা চুক্তি মাফিক টাকা না দিলেই মুশকিল। এছাড়া কেনো মাদককারবারি নিজেকে সুধরাতে চাইলেই বিপদ। নিয়ম মাফিক বখরা দিতেই হবে। বখরা না দিলে কোনো না কোনোভাবে হয়রানি করা হয়ে থাকে। এএসআই আকবর আলীর বিরুদ্ধে এ রকমই বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে দর্শনায়। দর্শনা তথা আশপাশ এলাকাকে মাদকমুক্তকরণের লক্ষ্যে চুয়াডাঙ্গা-৬ বর্ডার গার্ডের পরিচালক, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার ও ঝিনাইদহ র‌্যাবের সদস্যরা লাগাতাার অভিযান অব্যাগত রেখেছেন। সেখানে পুলিশ, বিজিবি ও র‌্যাবের সাথে তাল মিলিয়ে এ অভিযানকে আরও শক্তিশালী না করে বরং মাদককারবারিদের উৎসাহিতকরণের পথে হাঁটছেন এ অধিদফতরের সদস্যরা।

অভিযুক্ত এএসআই আকবর আলীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি পরে কথা বলবেন বলে জানান। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আসলাম হোসাইন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, অভিযান চালালে এ ধরনেরই অভিযোগ ওঠে।