vস্ত্রীকে হত্যার পর পায়ে দড়ি বেঁধে গুমের চেষ্টা করে স্বামী নদীতে ভেসে উঠলো স্ত্রীর লাশ : স্বামীর গাঢাকা

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গায় পায়ে দড়ি বাঁধা অবস্থায় এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার পর তাকে রশিতে বেঁধে নদীতে পুঁতে রাখা হয়েছিলো বলে পুলিশের ধারণা। লাশ উদ্ধারের পরপরই নিহত লক্ষ্মী রাণীর স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে গেছে। তারা লক্ষ্মীকে হত্যার পর নদীর পানিতে ডুবিয়ে গুমের চেষ্টা করেছিলো বলে পুলিশের ধারণা। পুলিশ লক্ষ্মী রানীর লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। শনিবার বিকেলে আলমডাঙ্গার কৃষ্ণপুরে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে লক্ষ্মীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের দুখী রাম দুই সন্তানের জনক। তিনি লক্ষ্মীপুর-গোয়ালবাড়ি নদীর খেয়াঘাটের পাটনি। ৯ দিন আগে থেকে তিনি প্রচার করতে থাকেন তার স্ত্রী লক্ষ্মী রাণীকে (৩০) খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গতকাল শনিবার দুপুরে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে এলাকাবাসী অজ্ঞাত নারীর লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। বিকেল ৩টার দিকে আলমডাঙ্গা থানার এসআই সাজ্জাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করেন। পরে হাতের শাখা ও পরনের শাড়ি কাপড় দেখে এলাকাবাসী লক্ষ্মীর লাশ শনাক্ত করে। আলমডাঙ্গা থানার এসআই সাজ্জাদ জানান, লক্ষ্মী রাণীকে হত্যার পর উরুতে দড়ি বেঁধে কোনো কিছুর সাথে পুঁতে রাখা হয়েছিলো নদীর পানিতে। লাশ ফুলে যাওয়ার কারণে ভেসে উঠেছে। গ্রামবাসীরা জানায়, নদীতে লাশ ভেসে ওঠার খবর জানাজানি হওয়ার পরপরই লক্ষ্মীর স্বামীসহ তার পরিবারের লোকজন সটকে পড়েছে। প্রতিবেশীরা জানান, প্রায়ই লক্ষ্মীকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করতো স্বামী দুখী রাম। দুই সন্তানের জননী লক্ষ্মী পাবনা জেলার মেয়ে। সম্প্রতি তার ছোট বোনের বিয়েতে স্বাদ খাওয়ানোর অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে স্বামী দুখী রামের সাথে লক্ষ্মীর গ-গোল হয়। এরপর ৯ দিন আগে থেকে  দুখী রাম প্রচার করতে থাকেন তার স্ত্রীকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। অবশেষে নিখোঁজ থাকার ৯ দিনের মাথায় নদীতে মিললো লক্ষ্মীর লাশ। লক্ষ্মীর লাশ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আজ রোববার লাশের ময়নাতদন্ত হতে পারে বলে পুলিশসূত্রে জানা গেছে।