দামুড়হুদার হোগলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি না হওয়ায় সাত ছাত্রকে টিসি ॥ অভিভাবক মহলে ক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার: দামুড়হুদার হোগলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি না হওয়ায় নবম শ্রেণির সাত ছাত্রকে টিসি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্ররা ওই অভিযোগ করে। তাদের অভিযোগ, হোগলডাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এ বছর জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ভালো ফলাফল করেছে তারা। গত ১ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের অন্যান্য শ্রেণির মতো নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হলেও তাদের কোনো বই দেয়া হয়নি। সেই থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যান্য শিক্ষকেরা তাদের বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি না হলে বই দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে বিভিন্ন সময় তারা মানসিক চাপ দেন। বিদ্যালয়ে মানসম্মত বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নেই। বিজ্ঞান বিভাগে মাত্র একজন শিক্ষক আছেন। ফলে ওই বিভাগে ভর্তি হলে লেখাপড়ার ক্ষতি ছাড়া লাভ হবে না। পরীক্ষার ফলও সন্তোষজনক হবে না। তাছাড়া পরিবার অসচ্ছল হওয়ায় ওই বিভাগে ভর্তি হতে চায়নি বলেও জানায় তারা। তারা আরও জানায়, ওই অপরাধে গতকাল শনিবার দুপুরে অভিভাবকদের সামনে তাদের টিসি দেয়া হয়। অভিভাবকরা অনুরোধ করলেও বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কথায় কান দেননি। টিসিপ্রাপ্ত ছাত্ররা হলো- আরিফুল ইসলাম, ইয়াসিন, হাসান, মাসুদ, আসিফ, রিওন ও আলিফ। টিসিপ্রাপ্ত ছাত্র আরিফুল ইসলামের অভিভাবক ফরিদা খাতুন জানান, আমার ছেলেকে কিছুদিন আগে ভর্তি করতে গেলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা ভর্তি নেননি। তারা বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হতে বললে আমি আমার পরিবারের অসচ্ছলতার কথা বলি। এ সময় তারা সাত দিন ভেবে দেখার সময় দিলেও তার পূর্বেই আমার ছেলেকে টিসি দেয়া হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম ভিন্ন মত পোষণ করেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের প্রতি বছরের মতো এবারও নবম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কোনো চাপ দেয়া হয়নি। এছাড়া ওই ছাত্ররা অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নিজের ইচ্ছায় টিসি নিয়েছে। বিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক এজন্য দায়ী নয়। মেধাবী ছাত্রদের টিসি দেয়ার বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবক ও সচেতন মহলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রদের অভিভাবকেরা।