লিভ টু আপিল খারিজ : খালেদার নাইকো দুর্নীতি মামলা চলবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: নাইকো দুর্নীতি মামলা বাতিলে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার আবেদন আপিল বিভাগেও সাড়া পায়নি। মামলা বাতিলের আবেদন হাইকোর্ট খারিজ করে দেয়ায় সর্বোচ্চ আদালতে লিভ টু আপিল নিয়ে এসেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ গতকাল বৃহস্পতিবার খালেদার ওই আবেদনও খারিজ করে দেন। আপিল বিভাগে খালেদার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
জরুরি অবস্থার সময় দুদকের দায়ের করা এ মামলাটি বর্তমানে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে। আপিল বিভাগ খালেদার লিভ টু আপিল খারিজ করে দেয়ায় বিচারিক আদালতে অভিযোগ গঠনের শুনানিতে আর কোনো আইনি বাধা থাকল না।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরের বছর ৫ মে বিএনপি চেয়ারপার্সনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দেয়া অভিযোপত্রে বলা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেয়ার’ মাধ্যমে আসামিরা রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতি করেছেন। এর বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে গেলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই এই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে এই মামলা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও বাতিল ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে দেয়া হয় রুল। ওই বছর ৯ সেপ্টেম্বর এ মামলায় জামিন পান খালেদা। গত বছরের শুরুতে রুল শুনানির মাধ্যমে মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নেয় দুদক। খালেদার আবেদনে রুলের ওপর শুনানি করে গত বছরের ১৮ জুন রায় দেন হাইকোর্ট। খালেদার করা আবেদন খারিজ করে মামলার ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়া হয় ওই রায়ে। সেই সঙ্গে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী গত বছরের ৩০ নভেম্বর বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পান খালেদা। বিচারক এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ঠিক করে দেন। এদিকে হাইকোর্টের আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পর গত বছর নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় লিভ টু আপিল দায়ের করেন খালেদা। ওই আবেদনের ওপর রোব ও সোমবার শুনানি করে সর্বোচ্চ আদালত আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন রাখেন।

Leave a comment