গাংনীর দুর্লভপুরে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন : অবশেষে বাল্যবিয়ে

 

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের কলেজ ছাত্র এখলাছুর রহমানের (১৭) সাথে স্কুল ছাত্রী সীমা খাতুনের বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে বিয়ের দাবিতে এখলাছুরের বাড়িতে অনশনের পর রাতেই তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।

জানা গেছে, দুর্লভপুর গ্রামের কলেজ ছাত্র এখলাছুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী গ্রাম ভরাটের জুলফিকার আলীর মেয়ে সীমা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক সৃষ্টি হয়। প্রেমিকের দেয়া বিয়ের প্রলোভনে দুজনের মাঝে সম্পর্কের গভীরতা বাড়তে থাকে। কিন্তু বিয়ের বিষয়ে টালবাহানা শুরু করে এখলাছুর ও তার পরিবার। পরে গতকাল বিকেলে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন সীমা খাতুন। শেষ পর্যন্ত রাতে দুই পরিবারের সম্মতিতে স্থানীয় এক মৌলভি তাদের বিয়ে পড়ান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় একজন মেম্বারসহ গ্রামের কতিপয় মোড়ল এ বাল্যবিয়ের সাথে জড়িত। এদিকে প্রেমিকা অনশন করলেও তাদের বিয়ের উপযুক্ত বয়স পূর্ণ না হওয়ায় বাল্যবিয়ে থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেন গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এসএম জামাল উদ্দীন আহম্মেদ। সাহারবাটি ও বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বাল্যবিয়ে বন্ধের নির্দেশনা দেন তিনি। কিন্তু নির্দেশনা অমান্য করেই বাল্যবিয়ে সম্পন্ন হয়। বর ও কনের অভিভাবক ও মৌলভিসহ বিয়ের সাথে জড়িতেদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে একই গ্রামের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী বিয়ের দাবিতে মাদরাসা ছাত্রের বাড়িতে ওঠে। অবশ্য উপজেলা নির্বাহী অফিসারে হস্তক্ষেপে তাদের বিয়ে হয়নি।