পাকিস্তানের সাত সেনাকে হত্যার দাবি ভারতের

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: পাকিস্তানের সাত সেনাকে গুলি করে হত্যার দাবি করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গতকাল শুক্রবার কাশ্মীরের বিতর্কিত সীমান্তে এই ঘটনা ঘটে বলে বিএসএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। পাকিস্তান থেকে হামলার জবাবে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছে বিএসএফ। তবে পাকিস্তান তাদের কোনো সেনার প্রাণহানির খবর অস্বীকার করেছে।

বিএসএফ বলছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ভারত সীমান্তের ভেতরে জঙ্গি ঢোকানোর ব্যর্থ চেষ্টা চালায় পাকিস্তান। ভোরের দিকে ভারতের দিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। বিএসএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়, পরে বিএসএফের পাল্টা গুলিতে একজন জঙ্গি ও ৭ পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। বিএসএফের মুখপাত্র শুভেন্দু ভরদ্বাজ বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, পাকিস্তানের আক্রমণ ঠেকাতে পাল্টা গুলি চালানো হয়েছে। পাকিস্তানিদের গুলিতে বিএসএফের একজন সদস্য আহত হওয়ার পাল্টা জবাব হিসেবে গুলি চালানো হয়েছে। তবে ভারতের অভিযোগ অস্বীকার করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল অসীম বাজা পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, বিনা উসকানিতে ভারত গুলি চালিয়েছে। টুইটার বার্তায় তিনি বলেন, ‘ভারতের পক্ষ থেকে সাতজন পাকিস্তানি সেনা হত্যার দাবি পুরোপুরিই মিথ্যা।’ গত কিছুদিন ধরেই ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের টানাপোড়েন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের উরিতে সেনাছাউনিতে সন্ত্রাসী হামলায় ১৯ সেনাসদস্য নিহত হন। এ ঘটনায় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিদের দায়ী করে ২৯ সেপ্টেম্বর পাকিস্তান ভূখণ্ডের মধ্যে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক বা সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার দাবি করে ভারত। এরপর ২ অক্টোবর উরির কাছেই বারামুল্লাহতে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত হন এক বিএসএফ সদস্য। মূলত উরি হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।