যন্ত্রণায় ছটফট করছেন ক্যান্সারে আক্রান্ত হতদরিদ্র সামাদ

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: মারণব্যাধি ক্যান্সার কখন যে তার দেহে বাসা বেঁধেছে তা বুঝতেই পারেননি। এক বছর ধরে কোনো কাজও করতে পারেন না তিনি। সামান্য যে ভিটে জমি ছিলো তাও বিক্রি হয়ে গেছে। ডাক্তার বলেছেন অপারেশন করাতে হবে। লাগবে প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা। বর্তমানে যার ওষুধ কেনারই টাকা নেই। খেয়ে না খেয়ে কোনোমতে যার দিন পার করতে হচ্ছে। ছেলেমেয়ের লেখাপড়াও বন্ধ হওয়ায় উপক্রম। তিনি অপারেশন করাবেন কীভাবে। টাকার অভাবে বিনা চিকিৎসায় বিছানায় শুয়ে শুয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করছেন দামুড়হুদার হেমায়েতপুরের ঘরজামাই হতদরিদ্র দিনমজুর তিন সন্তানের জনক আব্দুস সামাদ। সমাজের বিত্তবানদের সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সেলিম উদ্দীন।

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলার চন্দ্রবাস গ্রামের মৃত হজো মোল্লার ছেলে আব্দুস সামাদ দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তার সংসারে রয়েছে ৩টি সন্তান। বড় মেয়ে সাদিয়া খাতুন (১০) তৃতীয় শ্রেণিতে এবং ছেলে সামিউল (৭) ১ম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত। বছরখানেক আগে হঠাত অসুস্থ হয়ে পড়েন। নেয়া হয় ডাক্তারের কাছে। ডাক্তারের পরামর্শে অপারেশনও করানো হয়। অপারেশন করানোর পরই জানতে পারেন তার শরীরে ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে। নেয়া হয় রাজশাহী মেডিকেলে। সেখানে একটি কেমোও দেয়া হয়। এরপর ভিটে জমি বিক্রি করে নেয়া হয় ভারতে। সেখানে বেশ কয়েকটি কেমো দেয়া হয়েছে। ধার-দেনা করে এ পর্যন্ত প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। ভারতের ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, আর দুটো কেমো দেয়ার পর অপারেশন করাতে হবে। এতে প্রায় লাখ দেড়েক টাকার মতো খরচ হবে। কিন্ত কোথায় পাবে টাকা। যা ছিলো সবই তো শেষ। টাকার অভাবে সামাদকে ভারতে নিয়ে যেতে পারছেন না তার পরিবারের লোকজন।

সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সেলিম উদ্দীন বলেন, আমরা তার জন্য যতোটুকু পেরেছি করেছি। এখন সমাজের যারা বিত্তবান আছেন তারা যদি একটু সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে হয়তো সামাদকে বাঁচানো সম্ভব।