শার্ট-প্যান্ট ও জুতো পরিহিত ভদ্রবেশী চোর পুলিশের খাঁচায়

 

স্টাফ রিপোর্টার: সকাল ৯টা ২২। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে দেখা গেলো শার্ট, প্যান্ট, জুতো পরিহিত ভদ্রবেশী এক যুবকের পায়চারি। বয়স টেনেটুনে ২৭-২৮। গায়ের রঙ ফর্সা। চলাফেরার ভঙ্গিমা অনেকটা হিন্দি অ্যাকশন সিনেমার হিরোর মতোই। এদিক ওদিক তাকাচ্ছে আর পায়চারি করছে। পায়চারি করতে করতে গেলো বাইসাইকেল স্ট্যান্ডের দিকে। ঘড়ির কাঁটা তখন ৯টা ২৬। ওই ভদ্রবেশী যুবককে দেখা গেলো একটি বাইসাইকেল চালিয়ে নিয়ে চলে যেতে। বাইসাইকেলটি এমন ভঙ্গিমায় চালিয়ে গেলো যেন বাইসাইকেলটি তার নিজেরই। গত ১৭ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মাস্টাররুলে চাকরিরত অফিস সহকারী হুমায়ুন কবিরের বাইসাইকেল চুরি সিসি ক্যামেরায় রেকর্ডকৃত এমন দৃশ্য দেখে হতবাক হন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ উপস্থিত সবাই। গতকাল বুধবার সকালে সিসি ক্যামেরায় রেকর্ডকৃত দৃশ্য দেখে উপস্থিত অনেকেই চোরটি আশপাশের এলাকার বলে সন্দেহ করেন। পরে হুমায়ুন কবির তার মোবাইলফোনে চুরি করার দৃশ্য নিয়ে সন্দেহমূলক সিনেমা হলপাড়ার ছমির হোসেনের বাড়ি যান। সেখানে তার স্ত্রী মোবাইলফোনের ওই ছবি দেখে তাদের ছেলে শান্তি মিয়া (২৮) বলে শনাক্ত করেন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আটক পুলিশে সোপর্দ করা হয় শান্তিকে।

পুলিশ জানায়, শান্তি মূলত নেশাগ্রস্ত। সে দীর্ঘদিন থেকে শহরে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেলসহ বিভিন্ন চুরির ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত। গত ১৭ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে সে একটি বাইসাইকেল চুরি করে। পরে ডিঙ্গেদহের জনৈক আনোয়ার হোসেনের কাছে ১ হাজার ২শ টাকায় বিক্রি করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকাররোক্তি দেয় শান্তি।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক জানান, শান্তি চিহ্নিত নেশাখোর। বিভিন্ন চুরির ঘটনা ঘটিয়ে নেশার টাকা জোগাড় করে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে যে বাইসাইকেলটি চুরি হয়েছে সেটিও সেই করেছে। তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।