কিশোরী গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলাতদিয়াড়ে কিশোরী গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতরাত ১০টার দিকে কিশোরী গৃহবধূ খুশির লাশ উদ্ধার করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বাল্যবিয়ের এক বছরের মাথায় তার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আলুকদিয়া রোমেলা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ার সময় প্রেমসম্পর্কের মাধ্যমে বঙ্গজপাড়ার কাঠমিস্ত্রি রাকিবুলের সাথে বিয়ে হয়। এদিকে খুশির মৃত্যু নিয়ে নানা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরতলীর দৌলতদিয়াড় বঙ্গজপাড়ার কাঠমিস্ত্রি রাকিবুলের কিশোরী স্ত্রী খুশীর (১৫) ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। বাড়ির ছাদে একটি টিনশেড ঘরের আড়ায় রশি দিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে স্বামী রাকিবুল গাঢাকা দিয়েছে। নিহত খুশি আলুকদিয়া ইউনিয়নের হাতিকাটা গ্রামের মোকাম আলীর মেয়ে। মোকাম আলী ১ম স্ত্রী নিয়ে হাতিকাটা গ্রামে বসবাস করে। দ্বিতীয় সংসারে একমাত্র মেয়ে খুশিকে নিয়ে তার স্ত্রী দৌলাতদিয়াড় বঙ্গজপাড়ায় বসবাস করতেন।

নিহত খুশির পিতা মোকাম আলী জানান, বছরখানেক আগে দৌলাতদিয়াড় বঙ্গজপাড়ার জসিম উদ্দীনের ছেলে রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সাথে খুশির বিয়ে হয়। প্রেমসম্পর্কের মাধ্যমে পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। তবে সে সময় রাকিবুলের পরিবারের কোনো দাবি না থাকলেও পরে যৌতুক দাবি করে তারা। যৌতুকের জন্য প্রায়ই খুশিকে মারধর করতো রাকিবুল। পরে রাকিবুলকে ৩০ হাজার টাকাও দেয়া হয়। তাতেও থামেনি সে। এখন খুশির মায়ের নামে থাকা বঙ্গজপাড়ার বাড়িসহ জমি তার নামে লিখে দেয়ার জন্য বলে রাকিবুল। এতে খুশি রাজি না হওয়ায় শুরু হয় সংসারে অশান্তি। প্রায়ই মারধর করে স্বামী রাকিবুল। একপর্যায়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খুশির মা তাকে নেয়ার জন্য রাকিবুলের বাড়ি যায়। একবারে পাঠিয়ে দেয়ার কথা বলে ফিরিয়ে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তার কিছুক্ষণ পরেই খুশির মৃত্যু খবর আসে।

রাকিবুলের পিতা জসিম উদ্দীন বলেছেন, কাজে না যাওয়ায় আমার ছেলেকে বকাবকি করেছিলাম। এ জন্যই খুশি আত্মহত্যা করেছে। তাছাড়া সংসারে কোনো অশান্তি নেই।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি তোজাম্মেল হক জানান, আত্মহত্যার খবর শুনেছি। তবে কোনো পরিবারের লোকজন এখনও থানায় আসেননি।