গাংনী প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে গণপিটুনি ও কান ধরে উঠবস করানোর প্রতিবাদ এবং দোষীদের গ্রেফতার ও সাজার দাবিতে মেহেরপুর গাংনীতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট। গতকাল মঙ্গলবার সকালে গাংনী প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে ঘটনার প্রতিবাদ, তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক সাজার দাবি করেন শিক্ষক নেতৃবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম। প্রভাষক শফি কামাল পলাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি সৈয়দ জাকির হোসেন, গাংনী উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম তারা। উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম লালু, আমতৈল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের বক্তারা আরো বলেন, সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান ও তার অনুসারী যে কাজটি করেছেন তা গোটা শিক্ষক সমামজে হেয় করা হয়েছে। মানুষ গড়ার কারিগরদের যদি এভাবে অপমাণিত করা হয় তাহলে সভ্যতা বলে কিছু থাকে না। ওই ঘটনাটিকে বর্বর উল্লেখ করে সুষ্ঠু তদন্তে মাধ্যমে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৩ মে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি এবং শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কল্যান্দির পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে গণপিটুনি দেয়ার পর কান ধরে উঠবস করানো হয়। আর এ কাজে নারায়ণগঞ্জ-৪ (শহর ও বন্দর) আসনের সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান সরাসরি মদদ দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ওই শিক্ষক বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন। একজন শিক্ষককে অপদস্থ করার প্রতিবাদে সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। দেশে বিভিন্ন স্থানে ছাত্র-শিক্ষক ও তরুণরা নিজেদের কান ধরে প্রতীকী প্রতিবাদ জানায়।