স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের লক্ষে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর করণীয় বিষয়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১০টায় জেলা পুলিশ লাইন মিলনায়তনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ।
সমাবেশে খুলনার রেঞ্জ রিজার্ভ ফোর্সের (আরআরএফ) সিনিয়র এএসপি সাদিদ হোসেন ও এএসপি আনোয়ার হোসেনসহ নির্বাচনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ ইন্সপেক্টর, সাব ইন্সপেক্টর ও কনেস্টবলরা অংশ নেন। সমাবেশে প্রধান অতিথি পুলিশ সুপার মো. রশীদুল হাসান বলেন, বিগত নির্বাচনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত ও তা প্রশংসিত হয়েছে। পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে। এখন থেকে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি ছাড়া মোটরসাইকেল ও যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। সেন্টারের আশপাশে কোনো লোকজন থাকবে না। নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। দুটি সেন্টারের জন্য একটি মোবাইল টিম থাকবে।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান বলেন, কেন্দ্রে পোলিং এজেন্টরা মোবাইলফোন নিয়ে প্রবেশ করতে না পারেন সেদিকে নজর রাখতে হবে। ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা যাতে অক্ষুণ্ণ থাকে সেদিকটা খেয়াল রাখার অনুরোধ করেন। ভোটকেন্দ্রে পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক ও কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র দেখে ঢুকতে দেবেন।
এদিকে তৃতীয় পর্যায়ে আগামীকাল শনিবার আলমডাঙ্গার জামজামি, খাসকররা, ডাউকি, কালিদাসপুর , বেলগাছি ও জেহালা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯০ হাজার ৮ জন ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। মোট ৫৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৩টি অধিক গুরুত্বপূর্ণ ও ৩টি সাধারণ কেন্দ্রে হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। এই ছয় ইউনিয়নে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে ৪ দিনের জন্য কুষ্টিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহ. মাসুদুজ্জামান দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট হিসেবে আলমডাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া হাসান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুহুল আমীন, সাব্বির রহমান ও তরিকুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছেন।