ঘুমের প্রাকৃতিক পানীয়

 

পাঁচ থেকে সাত কোটি আমেরিকান অনিদ্রায় ভোগেন। পুরুষের তুলনায় নারীরা এ সমস্যায় বেশি জর্জরিত। স্থূল বা উচ্চ রক্তচাপ, দুশ্চিন্তা বা বিষণ্ণতায় ভোগা মানুষের মাঝে এ প্রবণতা আরও তীব্র। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে ইমিউন সিস্টেমের ওপর মারাত্মক বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে। দীর্ঘমেয়াদে অনিদ্রাজনিত সমস্যা স্থূলতা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। সুস্থ থাকার জন্য প্রতি রাতে একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম অপরিহার্য। কিশোর-কিশোরীদের প্রয়োজন নয় থেকে ১০ ঘণ্টা। আর স্কুলগামী শিশুদের জন্য প্রয়োজন ১০ বা তারও বেশি ঘণ্টা। এছাড়া সংক্রমণজনিত রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই। এবার চলুন জেনে নেয়া যাক ভালো ঘুমের জন্য কয়েকটি প্রাকৃতিক পানির ব্যবহার:

লেমন বাম চা: মেরিল্যান্ড মেডিকেল সেন্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যমতে, মধ্যযুগ থেকে ভালো ঘুমের জন্য ও দুশ্চিন্তা হ্রাসে লেমন বাম ব্যবহৃত হয়ে আসছে। পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য এর পাতা গরম পানিতে মিশিয়ে চা হিসেবে পান করা যেতে পারে। এটি মস্তিষ্ককে রিলাক্স দেয়।

গরম দুধ ও মধু: দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো অ্যাসিড ট্রিপটোফ্যান। এটি মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে এবং ঘুমাতে সাহায্য করে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, গরম দুধ ট্রিপটোফ্যানের মাত্রা কমিয়ে দেয়। পক্ষান্তরে, শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যা মস্তিষ্ককে আরাম দেয়। ফলে ক্ষণিকেই ঘুম চলে আসে। এছাড়া পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য গরম দুধ ও মধুর মিশ্রনও বেশ কার্যকর। এ পদ্ধতিটি এরকম- ১ গ্লাস দুধ নিন এবং তা গরম করতে দিন। তাতে ১ টেবিল চামচ মধু মেশান। সম্ভব হলে ১ চা চামচের এক চতুর্থাংশ জায়ফল মেশান। এরপর তা ঠাণ্ডা করুন। এরপর বিছানায় শোয়ার ৩০ মিনিট আগে তা খেয়ে ফেলুন। এতে ঘুম হবে চমৎকার। সকালে উঠে মেজাজটাও থাকবে ফুরফুরা।

কলার জুস: বিছানায় যাওয়ার আগে দারুণ পানীয় কলার জুস। এটি খুবই সুস্বাদু ও তৈরি করা খুবই সহজ। চমৎকার সুস্বাদু ও সুস্বাস্থ্যকর কলার জুস যেভাবে তৈরি করা যায় একটি পাকা কলার অর্ধেক নিন। তাতে টেবিল চামচ বাদামের মাখন ও আধা কাপ সয়া সস মেশান। এরপর তা ভালোভাবে নেড়ে খেয়ে ফেলুন। অতপর ঘুমাতে যান। কখন যে ঘুম আসবে তা আপনি টেরই পাবেন না। যাদের ঘুম আসে না সকালে উঠে তারা বলতে বাধ্য হবেন, আজ বেশ ঘুম ঘুমিয়েছি।