ট্রেনে কেটে মিঠুর শরীর থেকে ডান হাত বিচ্ছিন্ন

 

স্টাফ রিপোর্টার: ট্রেনের হরদম হুইসেলেও লাইনের মাঝে থাকা ব্যক্তির হুঁশ হলো না। এপাশ ওপাশ করতেই ট্রেন এসে মারলো ধাক্কা। আছড়ে পড়ে ট্রেনে কেটে ডান হাতটা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো।

গতকাল বুধবার প্রায় পোনে ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের ঊর্ধ্বমুখি লেবেলক্রসিঙের নিকট এ দুর্ঘটনা ঘটে। দৃশ্য দেখে কেউ বলেন, ট্রেনে কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা, কেউ বলেন- লোকটা মানসিক ভারসম্য হারিয়ে বিকারগ্রস্ত।

ট্রেনে হাত কেটে ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে দ্রুত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। আহত ব্যক্তি চুয়াডাঙ্গা শান্তিপাড়ার মৃত তোবারক খান ওরফে তৈয়ব আলীর ছেলে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেখেই চিকিৎসা চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, তখন ঘড়ির কাঁটা ১১টা ৪০ মিনিট। চুয়াডাঙ্গা স্টেশনের প্লাটফর্মে ঢাকাগামী চিত্রা এক্সপ্রেস। জেলা শহরের প্রধান সড়ক তথা শহীদ আবুল কাশেম সড়কের লেবেলক্রসিঙে গেটে ফেলে রাখার কারণে দু ধারেই অসংখ্য যানবহনসহ পথচারী। রেলবেল ক্রসিঙের অদূরেই ঊর্ধ্বমুখি রেললাইনের মাঝে উদাসীনভাবে বসে ছিলেন একজন। স্টেশন থেকে চিত্রা এক্সপ্রেস ছেড়েই লাইনে মানুষ দেখে হরদম হুইসেল দিতে থাকে ট্রেনচালক। তাতে কর্ণপাত হয়নি। ট্রেন যখন খুব কাছে তখন লাইনের এদিক ওদিক করতেই ধাক্কা লাগে তার। আছড়ে পড়ে। ডান হাতটা কাটা পড়ে। ট্রেন চলে যাওয়ার পর উৎসুকজনতার ভিড় জমে। কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।

মিঠুর ভাইসহ তার পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, মিঠু এক সময় খুব ভালো দর্জি ছিলো। ওর স্ত্রী ছিলো, ছিলো এক মেয়ে এক ছেলে। আনুমানিক ১০ বছর আগে ছেলেকে সাথে নিয়ে মিঠুকে ছেড়ে তার স্ত্রী পাড়ি জমায় মধ্যপ্রাচ্যে। মেয়ে মিতুকে রেখে যায়। এর মধ্যে তার বিয়েও হয়েছে। অপরদিকে স্ত্রী ছেড়ে মধ্যপ্রাচ্যে পাড়ি জমানোর পর থেকেই মিঠু মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। মাঝে মাঝেই উদাসীন হয়ে পথে পথে ঘুরতে থাকে। এরই এক পর্যায়ে এখন শুনছি ট্রেনে কেটে হাত হারিয়েছে। আত্মহত্যা নয়, হয়তো অন্যমনস্ক থাকার কারণেই রেললাইনের ওপর বসতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকতে পারে।