মিনিট্রাক নিয়ে চালক হেলপারের চুয়াডাঙ্গায় সন্দেহজনক অবস্থান : নজর কাড়ে গোয়েন্দার
স্টাফ রিপোর্টার: দু ব্যারেল ভর্তি রহস্যাবৃত্ত তরল পদার্থসহ মিনি ট্রাকের চালক ও হেলপার চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে। গতকাল সন্ধ্যার পর ট্রাকটি চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছুনোর পর তার গতিবিধি রহস্যজনক হওয়ায় নজর পড়ে গোয়েন্দা দলের। চুয়াডাঙ্গা জেলা শহর থেকে আলুকদিয়ার দিকে ট্রাকটি নিতেই আটক করে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান ডিবির এসআই ইব্রাহিম ও এসআই আমির আব্বাস।
সূত্র বলেছে, ট্রাকচালক একটি চালানপত্র গোয়েন্দা পুলিশের সামনে মেলে ধরেন। প্রাপকের ঠিকানা ছাড়াই শুধু নাম মালেক হোসেন চুয়াডাঙ্গা লেখা, বর্ণনায় বলা- ৩৩ পালিশ ১৩৬ কেজি। মূল্য ২৪ হাজার টাকা। ট্রাকচালক এই চালানপত্র দেখানোর পাশাপাশি জানান, ঢাকার তেজগাঁ থেকে চুয়াডাঙ্গায় দুটি ব্যারেলের তরল পদার্থ বহনের ভাড়ায় এসেছি। ওতে কী আছে তা তো জানি না। মোবাইলফোন নম্বর দিয়ে বলা হয়েছিলো, চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছে ওই নম্বরে ফোন করলেই কোথায় নামাতে হবে তা জানানো হবে। চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছে ওই নম্বরে ফোন করলে আলুকদিয়ার দিকে যেতে বলে। ওইদিকে রওনা হতেই পুলিশ আটক করে।
পুলিশসূত্র বলেছে, তরল পদার্থ আর কিছু নয়, ওগুলো স্পিরিট। নেশাখোরদের মধ্যে বিক্রির জন্যই হয়তো এগুলো চুয়াডাঙ্গায় নেয়া হয়েছে। মোবাইলফোন ট্র্যাকিং করে আসাল হোতাকে ধরার চেষ্টা চলছে। আটকের পর ট্রাকচালক আব্বাস আলী পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন, তার বাড়ি ঝিনাইদহের জয়রামপুরে। পিতার নাম সবুর মোল্লা। হেলপার হাসান ঝিনাইহয়ের আড়োয়ালির সাহেব আলীর ছেলে বলে পরিচয় দিয়েছে। এদেরকে গতরাতে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে শুরু হয় মামলার প্রক্রিয়া। তরল পদার্থ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পরীক্ষার বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।