চুয়াডাঙ্গায় মাছব্যবসায়ী ভুলুর হত্যাকারীদের গ্রেফতার না করার প্রতিবাদে পরিবারের সদস্যদের অনশন : অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার আইনে শাস্তি দিতে হবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় মাছ ব্যবসায়ী হানিফ হোসেন ভুলুর হত্যাকারীরা গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ার প্রতিবাদে অনশন কর্মসূচি পালন করেছে তার পরিবার। গতকাল শনিবার বেলা ১১টা থেকে শহরের শহীদ হাসান চত্বরের মুক্তমঞ্চে বিকেল পযর্ন্ত এ অনশন চলে। এ সময় ভুলুর হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে ভুলুর মা সাবিয়া খাতুন, দোকান মালিক সমিতির কর্যকরী সদস্য ফজলে রাব্বি ফিট্টু, ব্যবসায়ী আরিফ হোসেন, শেখ রিংকুসহ পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন।

নিহত ভুলুর মা অভিযোগ করে বলেন, ভুলুকে হত্যা করে খুনিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করছে না। আমার ছেলে নিহত হওয়ার পর পুলিশ খুনিদের শাস্তি দেয়ার আশ্বাস দিলেও পরে নীরব হয়ে যায়। পুলিশপ্রশাসনের প্রতি আসামিদের গ্রেফতারে গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর দাবি জানান।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুরে চুয়াডাঙ্গা শহরের ফেরিঘাট রোডে শিশুস্বর্গের সামনে দুর্বৃত্তদের অস্ত্রাঘাতে নিহত হন মাছব্যবসায়ী হানিফ হোসেন ভুলু। পরে ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় নিহত ভুলুর মা শাফিয়া খাতুন বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ১৫ মার্চ মঙ্গলবার দুপুরে তাদের মধ্যে মাতাল নামের একজনকে আটক করে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে এলাকাবাসী। এছাড়া বাকি আসামিরা প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করলেও পুলিশ নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ নিহত ভুলুর পরিবারের। পরে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে গত ১৯ মার্চ ভুলুর স্বজনেরা চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন এবং ২৩ মার্চ একই দাবিতে শহীদ হাসান চত্বরে মানববন্ধন, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারে নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, আসামি গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশের প্রতি যে অভিযোগ উঠেছে তা ভিত্তিহীন। ঘটনার পর থেকেই পুলিশ প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার করতে সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। আসামি যেই হোক না কেন তাকে গ্রেফতারে পুলিশের কোনো অনীহা থাকে না। কিছু কর্মের মাধ্যমে তা প্রমাণ দিয়েছে পুলিশ যা জেলাবাসীর খুব ভালোভাবে জানা। তাছাড়া আসামিদের অবস্থান সম্পর্কে পুলিশকে দ্রুত অবহিত করলে খুব শিগগিরই ফল পাওয়া যাবে।