অসহনীয় গরমে চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে বিদ্যুতের আসা যাওয়া

SAMSUNG CAMERA PICTURES

 

স্টাফ রিপোর্টার: বঙ্গোপসাগরে মেঘের জোগান মিলছে ঠিকই, সেই মেঘ উড়ে সোজা পাড়ি জমাচ্ছে মেঘের রাজ্য মেঘালয়ে। সেখানে অঝরে ঝরছে বৃষ্টি। তারই ছোঁয়ায় গতকালও সিলেটে ১শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এতেই চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ দেশের অধিকাংশ এলাকার তাপমাপা যন্ত্র ব্যারোমিটারের পারদ কিছুটা নিচে নামছে। পারদ নিচে নামলেও অস্বস্তির সূচক অসনীয় মাত্রাতেই রয়েছে। এর মাঝে আবহাওয়া অধিদফতর কুষ্টিয়াসহ কয়েকটি এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। গতরাতে চুয়াডাঙ্গায় বৃষ্টির অনূকুল পরিবেশ সৃষ্টি হলেও রাত ২টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তা হয়নি। তার আগে দেদারছে ঘামছে মানুষ। প্রচণ্ড খরতাপে প্রাণিকূল ওষ্ঠাগত। স্বস্তি নেই যেন গাছের ছায়াতেও। এরপর গতকাল চুয়াডাঙ্গার কয়েকটি ফিডারে ছিলো বিদ্যুতের বেহালদশার ভায়াবহ চিত্র। আসা-যাওয়া যেন লেগেই থেকেছে বিদ্যুতের। অসহনীয় গরমে বিদ্যুতের বেহালদশায় বেড়েছে ক্ষোভ।

অপরদিকে গ্রাম বাংলায় চলমান তাপপ্রবাহ থেকে স্বস্তি খুঁজতে দামাল ছেলেরা। তাদের অনেকেই দুপুর হওয়ার আগেই নেমেছে পুকুর, খালবিলে ও মাথাভাঙ্গা নদীতে? অতোটুকু পানিতে অতো মানুষের ধকল কি সইতে পারে? নদীর পানিতে গোসলেও যেন শান্তি নেই। উল্টো গা চুলকোনোর বাড়তি যন্ত্রণা। তারপরও গরম থেকে রক্ষা পেতে অনেকেরই ওই নদীই যেন ভরসা। গতকাল চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৩ ও সর্বনিম্ন ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। দেশের সর্বোচ তাপমাত্রা ছিলো রাজশাহীতে ৩৮ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেটে গতাকল ১শ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। মেঘালয়ে? কয়েক ইঞ্চি।

গতকাল আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, পশ্চিমা লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ মরসুমের  স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বর্জ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও শিলা বৃষ্টি হতে পারে। সাথে সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যাত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে চৈত্রের দাবদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। কোথাও এতোটুকু শান্তি নেই। তাপপ্রবাহের তপ্ত আগুনে শরীর ঝলসে যাওয়ার উপক্রম। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে নারী-পুরুষসহ শিশুরাও নেমে পড়েছে পুকুরে।