আন্দুলবাড়িয়ায় ইউনিয়ন বিএনপির চেয়ারম্যান : প্রার্থী বাছাইয়ে অবশেষে ভোটযুদ্ধ

 

আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছায়ে অবশেষে ভোটযুদ্ধ শুরু হয়েছে। সম্ভব্য ৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে দুজন প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করে নেয়ায় অপর দু প্রার্থী অনড় থাকায় দলের নীতিনির্ধারক মহল সরাসরি ভোটের মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচিত করার তফসিল ঘোষণা করেন। ইউনিয়ন কমিটির সভার সিদ্ধান্ত মোতাকে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খান খোকনকে নির্বাচন কমিশনার ও ইউনিয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য হাজি আমিনুল ইউছুফ খোকনকে রিটার্নিং ও ইউনিয়ন বিএনপির দফতর সম্পাদক আবু জাফরকে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। দীর্ঘদিন দলের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়ার পর ভোট উতসব আমেজে নেতাকর্মীদের মাঝে সেই প্রাণচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের মতে দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী বাছাই নির্বাচন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারকে হার মানিয়েছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দু প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা বিজয় ছিনিয়ে আনতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জোটবদ্ধ হয়ে স্ব স্ব প্রার্থীর সমর্থক ও কর্মীরা মোটরসাইকেল ও বিভিন্ন যানবহন যোগে বিরামহীনভাবে বিভিন্ন গ্রাম, ওর্য়াড়, পাড়া ও মহল্লায় দলীয় ভোটরদের দ্বারে দ্বারে ভোট প্রার্থনা করছেন। আজ রোববার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্য়ন্ত বিরতিহীনভাবে গোপন ব্যালেট পেপারের মাধ্যমে জেলা বিএনপির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান বাবু খানের বাসভবনে দু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়া ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণের আশায় ৪ প্রার্থী মাঠে নামেন। সম্ভব্য স্ব স্ব চেয়ারম্যান প্রার্থীগণ দলীয় পরিচয়ে দীর্ঘদিন এলাকায় নেতাকমীদের সাথে গণসংযোগ, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দের সাথে লবিং, দোয়া ও সর্মথন আদায় অব্যাহত রাখেন। দলের একাধিক প্রার্থী মাঠে নামায় দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় নীতিনির্ধারক মহল একাধিকবার সমন্বয় করার চেষ্টা করেন। চেয়ারম্যান নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের প্রার্থী, কর্মী ও সর্মথকদের মধ্যে গ্রুপিং, লবিং ও বিভজন দেখা দেয়। কেই কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এরই প্রেক্ষিতে গত সোমবার বিকেলে স্থানীয় বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ফুটবল মাঠে ইউনিয়ন বিএনপি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপি সহসাধারণ সম্পাদক খান বিক্সের মালিক আজিম খান ও ইউনিয়ন বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি মেম্বার শেখ হাফিজুর রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের অনুরোধে প্রার্থীতা প্রত্যাহর করে নেন।

অপর প্রার্থী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সাবেক ইউপি মেম্বার আতিয়ার রহমান ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাব্দার রহমান অনড় থাকায় সভায় দলের নীতিনির্ধারক মহল সরাসরি ব্যালেট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ করার ঘোষণা দেন। দলীয় নির্বাচনী নীতিমালা অনুসরণ করে দু প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়। আতিয়ার রহমান পেয়েছেন, (মোরগ) ও সাব্দার রহমান (ছাতা) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্বে লড়ছেন। ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ৯ টি ওর্য়াড কমিটির ৪৫৯ ও ইউনিয়ন কমিটির ৩৪, সর্ব মোট ৪৯৩ জন ভোটার প্রত্যক্ষভাবে গোপন ব্যালেটের মাধ্যমে ভোট প্রদান করবেন।

সূত্র জানান, জেলা বিএনপির ১ নং যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান বাবু খান প্রার্থী নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরেপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পূর্ণ করতে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। দলীয় পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি। কে হাসছে বিজয় হাসি?