দুর্ঘটনায় নিহতের মৃতদেহ নেয়ার পথে ফের দুর্ঘটনা

 

 

আলুকদিয়া/ভালাইপুর প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কে গত বুধবার সড়ক দুর্ঘটনায় আলমডাঙ্গা কুলপালা গ্রামের সুরাত আলী নিহত হন। গতকাল বৃহস্পতিবার আলমসাধুযোগে তার লাশ আনতে মেহেরপুর যাওয়ার পথে আবারও দুর্ঘটনা ঘটে। এতে চিৎলা ইউপি মেম্বার টুকু ও নিহত সুরাতের ছেলে, ভাই, জামাইসহ ৮ জন আহত হন। লাশ জানাজার সময় আরেক বিপত্তি দেখা যায়। মেহেরপুরের ৪ যুবক ফিল্মি স্টাইলে চাঁদাবাজি করতে এসে গণধোলাইয়ের শিকার হয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের দরবেশপুর নামক স্থানে কুলপালা গ্রামের গোলাম সর্দ্দারের ছেলে সুরাত আলী সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।। আলমসাধু-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে তিনি নিহত হলে মোটরসাইকেল চালকের সাথে নিহতের পরিবারের এক লাখ ২০ হাজার ও আলমসাধু চালকের সাথে ২৫ হাজার টাকায় আপসরফা হয়। গতকাল সকালে আলমসাধুযোগে মেহেরপুরে লাশ আনতে পরিবারের পক্ষ থেকে মেহেরপুরের উদ্দেশে রওনা দিলে পথিমধ্যে ফের তারা দুর্ঘটনার শিকার হন। আলমসাধুর অ্যাক্সেল কেটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে চিৎলা ইউপি মেম্বার টুকু,  নিহতের ছেলে ইয়াছিন (১২), জামাতা সাইফুল ইসলাম (২৫), ছোট ভাই জহুরুল ইসলাম (৩০), প্রতিবেশী বাবলু (৪৫), হারেজ (৫৫), আরজান (৪০) ও বিটন (২৫) আহত হলে স্থানীয় জনগণ তাদেরকে মেহেরপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে টুকু মেম্বর, সাইফুল, বাবলু ও বিটনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার করলেও বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে লাশ নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় ফিরে আসেন। চুয়াডাঙ্গা থেকে টুকু মেম্বারকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়। এদিকে বেলা দেড়টার দিকে লাশ জানাজার কাজ চলছিলো। এ সময় মেহেরপুরের যুবক বায়জিদ (২৫), রিয়াজুল (২৪), সাগর (২৫) ও জনি (২৩) নিজেদেরকে যুবলীগকর্মী পরিচয় দিয়ে আলমসাধু চালকের নিকট থেকে আনা ২৫ হাজার টাকার ভাগ হিসেবে পুরোটাই দাবি করে। টাকা না দিলে লাশ পুনরায় মেহেরপুর ফেরত নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। এসময় স্থানীয় জনগণ তাদেরকে ধরে উত্তমমধ্যম দিয়ে আনারুল মিয়ার গদিঘরে আটকে রেখে জানাজা শেষে লাশ দাফন সম্পন্ন করে। পরে বায়েজিদের চাচা আবুল হায়াতের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে বেলা পাচঁটার দিকে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।