সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর
স্টাফ রিপোর্টার: অবশেষে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতা-বিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ ও বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর দণ্ডাদেশ কার্যকর হয়েছে। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হবার পর গত শনিবার দিনগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের একই মঞ্চে পাশাপাশি ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদের রায় কার্যকর করা হয়। প্রাণভিক্ষার আবেদন নিয়ে অবশ্য বিভ্রান্তি রয়েছে।
জানা গেছে, রাত ৯টা ৩৫ মিনিটে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাথে শেষ বারের মতো দেখা করেন তার স্বজনরা। আর রাত ১১টায় আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের সাথে দেখা করেন তার স্বজনরা। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্বজনরা এক ঘন্টা ১৫ মিনিট পর ১০টা ৫০ মিনিটে কারাগার থেকে বের হন। আর মুজাহিদের স্বজনরা এক ঘন্টা ১০ মিনিট দেখা করার পর ১২টা ১০ মিনিটের দিকে কারাগার থেকে বের হন। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এর আগে ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও ২০১৪ সালের ১১ এপ্রিল জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আলবদর কমান্ডার মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
গত ১৮ নভেম্বর আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর আইনি লড়াইয়ের চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার ও তার আশপাশ এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। গতকাল সকাল থেকেই নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তা। বিপুল সংখ্যক পুলিশ, ৱ্যাব, বিজিবি, কারারক্ষী ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কারা ফটকে অবস্থান নেন।
বিভিন্ন ভবনের ছাদেও পাহারা দিতে দেখা যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের। কারাগারের মূল ফটকের সামনে মোতায়েন করা হয় একটি এপিসি বা সাঁজোয়া যান। গতকাল সকাল থেকেই চাঁনখার পুল থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। রাত আটটার পর কারা ফটকের আশপাশে গণমাধ্যমকর্মী ছাড়া অন্য সবার যাওয়া-আসা বন্ধ করে দেয়া হয়।
সূত্র জানায়, গতকাল দুপুরে দুজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আলী আহসান মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। পরে কারা কর্তৃপক্ষ আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠায়। এরপর আইন মন্ত্রণালয় হয়ে রাত ৯টার দিকে আবেদনটি রাষ্ট্রপতির দফতরে পৌঁছায়। রাষ্ট্রপতি প্রাণভিক্ষার আবেদন নাচক করার পর ৯টা ৪০ মিনিটে বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে আসেন আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব। সেখান থেকে তিনি সরাসরি চলে যান ধানমণ্ডিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায়। রাত ১০টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফাঁসির নির্বাহী আদেশের কপিতে স্বাক্ষর করেন। এরপর সেই কপি সরাসরি পাঠিয়ে দেয়া হয় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে।
ফাঁসি কার্যকর করার পর পুলিশ ও ৱ্যাব সদস্যদের প্রহরায় রাতেই সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি তার নিজ গ্রাম চট্টগ্রামের রাউজানের উদ্দ্যেশে রওনা দেয়। একইভাবে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের লাশ নিয়ে যাওয়া হয় ফরিদপুরে তার গ্রামের বাড়িতে। রাত সাড়ে ১২টায় দু’জনের লাশ বহনের জন্য চারটি অ্যাম্বুলেন্স ভেতরে প্রবেশ করে। দু জনকে ফাঁসির মঞ্চে নেয়ার আগে কারা হাসপাতালের চিকিত্সক তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন।
ফাঁসির প্রক্রিয়া শেষ করতে গতকাল রাত ৮টা ১০ মিনিটে প্রথমে কারাগারে প্রবেশ করেন অতিরিক্ত আইজি (প্রিজন) কর্নেল মুহাম্মদ ফজলুল কবির। ঠিক ১০টায় কারাগারে প্রবেশ করেন দুজন ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ ও মোহাম্মদ মুশফিক। এরপর রাত ১০টা ১৫ মিনিটে কারাগারে প্রবেশ করেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন। তার ৫ মিনিট পর ঢোকেন ঢাকা জেলা প্রশাসক মো. তোফাজ্জল হোসেন। এ দুজনের প্রায় ১৫ মিনিট পর ঢোকেন ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. আবদুল মালেক মৃধা। এরা ছাড়াও রায় কার্যকরকালে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেল সুপার, জেলার, দু ডেপুটি জেলার, পুলিশের লালবাগ জোনের উপকমিশনার, কারা চিকিত্সক। এছাড়া ভেতরে ছিলেন ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
মঞ্চ ঘিরে প্রস্তুতি ও ফাঁসি কার্যকর, কারা সূত্র জানায়, ফাঁসি কার্যকর করার আগে মঞ্চটিকে ঘিরে প্যান্ডেল টানানো হয়। রাত ৮টার দিকে ফাঁসির মঞ্চে বিদ্যুত্ সংযোগ দিতে কারাগারে প্রবেশ করেন ইলেট্রিশিয়ানরা। রাত পৌনে ৯টার দিকে ফাঁসির মঞ্চে অতিরিক্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়। লাল-সবুজের সামিয়ানা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয় ফাঁসির মঞ্চ। ফাঁসির মঞ্চের পশ্চিম ও পূর্ব দিকের দেয়াল ঘেঁষে দাঁড়ানো ছিলো ১২ জন সশস্ত্র কারারক্ষী। কারাগারের আশপাশের উঁচু বাড়ির ছাদে আগে থেকেই ছিলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সর্তক পাহারা। কারাগারের আশপাশ ঘিরে গড়ে তোলা হয় তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়। তবে রাত ১০টার পর কারাগারের বাইরের দিকের লাইটগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। রাত সোয়া ১১টার দিকে দিকে আলী আহসান মুজাহিদ ও সাড়ে ১১টার দিকে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে গোসল করানো হয়। এরপর কারা মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা মনির হোসেন তাদের তওবা পড়ান। এর আগেও তিনি কাদের মোল্লা ও কামারুজ্জামানকে তওবা পড়ান। সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত ১২টা ৪০ মিনিটে দুজন করে চার জন কারারক্ষী ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যান সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মুজাহিদকে। ৫ মিনিট পর ১২টা ৪৫ মিনিটে জল্লাদরা দুজনের ফাঁসি কার্যকর করেন।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্র বলেছে, ছয় জল্লাদ শাহজাহান, রাজু, আবুল, মাসুদ, ইকবাল ও মুক্তার এই ফাঁসি কার্যকর করেন। তারা বিভিন্ন মামলায় সাজা খাটছেন। দুজনকেই ফাঁসির মঞ্চে নেয়ার পর জল্লাদ পেছন থেকে হাত বেঁধে মাথা থেকে মুখমণ্ডল পর্যন্ত কালো টুপি (জমটুপি) পরিয়ে দেন। এরপর সিনিয়র জেল সুপার রুমাল হাতে নিয়ে ফাঁসির মঞ্চের প্রায় দশ গজ সামনে অবস্থান নেন। এ সময় জল্লাদের দৃষ্টি ছিলো রুমালের দিকে। আর জেল সুপারের দৃষ্টি ছিলো ঘড়ির কাঁটার দিকে। নির্ধারিত সময়ে রুমালটি হাত থেকে নিচে ফেলে দেন জেল সুপার। ঠিক তখনই জল্লাদ ফাঁসির মঞ্চের লিভারে (যার সাথে দড়ি সংযুক্ত) টান দেন। এভাবেই দুজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
স্বজনদের শেষ সাক্ষাত, গতকাল রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর সাথে দেখা করেন স্বজনরা। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী, ছেলে, পুত্রবধূসহ পরিবারের ৩৫ জন চারটি গাড়িতে করে রাত ৯টার কিছু পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছান। দেখার অনুমতি পান ১৮ জন। তাদের মধ্যে ছিলেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী, বড় ছেলে ফজলুল কাদের চৌধুরী, তার স্ত্রী দানিয়া খন্দকার, ছোট ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী, মেয়ে ফারজিন কাদের চৌধুরী, মেয়ের স্বামী জাফর খান, সালাহউদ্দিনের ভাই গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামালউদ্দিন কাদের চৌধুরী, ভাবি সেলিনা চৌধুরী, ভাগ্নি মাহবুবা চৌধুরী, শ্যালক আবু বক্কর আদেল, ভাতিজা শাকিব কাদের চৌধুরী, শ্যালিকা রাহাত আদেল, চাচী পারভীন কাদের চৌধুরী, শ্যালকের স্ত্রী আফরিন আদেল, ফুফাতো ভাই সাঈদ হোসেন চৌধুরী ও অপর এক ভাবীসহ দুজন।
একইভাবে আলী আহসান মুজাহিদের পরিবারের সদস্যরা গতকাল রাতে তার সাথে শেষ সাক্ষাত করেন। মুজাহিদের ৩০ জন স্বজন তার সাথে দেখা করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন মুজাহিদের স্ত্রী তামান্না-ই-জাহান, বড় ভাই আলী আফজাল আহম্মেদ খালিস, বড় ছেলে আলী আহম্মদ তাজদীদ, মেজো ছেলে আলী আহম্মদ তাহকিক, ছোট ছেলে আলী আহম্মদ মাবরুর, মেয়ে তামরিনা বিনতে মুজাহিদ, বড় ছেলের স্ত্রী ফারজানা জেবিন, মেজো ছেলের স্ত্রী নাসরিন কাকলি ও ছোট ছেলের স্ত্রী সৈয়দা রুপাইদাসহ অন্যরা। দেখা করার পর বের হয়ে আলী আফজাল আহম্মেদ খালিস সাংবাদিকদের বলেন, ‘উনি মার্সি পিটিশন করেননি। উনি সুস্থ ও স্বাভাবিক আছেন। দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ড যেসব অভিযোগে, ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা গ্রামের কুণ্ডেশ্বরী ঔষধালয়ের প্রতিষ্ঠাতা নূতন চন্দ্র সিংহকে হত্যাসহ মানবতাবিরোধী চারটি অপরাধের দায়ে সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। ওই বছরের ২৯ অক্টোবর তিনি ট্রাইব্যুনালের রায় বাতিল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল দায়ের করেন। চলতি বছরের ২৯ জুলাই আপিল বিভাগ সালাহউদ্দিন কাদেরের আপিল খারিজ করে দিয়ে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের ফাঁসির দণ্ড বহাল রাখেন।
এদিকে ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই মুজাহিদের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয় ট্রাইব্যুনাল-২। ট্রাইব্যুনালের এ ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১১ আগস্ট আপিল করেন তিনি। চলতি বছরের ১৬ জুন দেশের বরেণ্য বুদ্ধিজীবীদের হত্যার উসকানি, পরিকল্পনা ও নৈতিক সমর্থন দানের দায়ে ট্রাইব্যুনালের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে তিনি রিভিউ দাখিল করেন। সর্বশেষ আইনি লড়াইয়ে গত ১৮ নভেম্বর এই দু নেতার রিভিউ খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।
ভাইয়ের পাশে সমাহিত হচ্ছেন সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকরের পর তার দাফন হবে গ্রামের বাড়ি রাউজানের গহিরায় বায়তুল বিলালের পারিবারিক কবরস্থানে। মসজিদ সংলগ্ন সালাহউদ্দিনের পুরনো পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাদা-বাবা-চাচাদের দাফন করা হলেও সেখানে আর জায়গা না থাকায় এখন তাদের নতুন বাড়ি বায়তুল বিলালের কবরস্থানেই তাকে দাফন করা হবে। সালাহউদ্দিন কাদেরের ছোট ভাই সাইফুদ্দীন কাদের চৌধুরীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবার। সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পারিবারিক সূত্র বিষয়টি জানিয়েছে।
আইডিয়াল ক্যাডেট মাদরাসা প্রাঙ্গণে মুজাহিদের দাফন, আলী আহসান মুজাহিদকে ফরিদপুরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার আইডিয়াল ক্যাডেট মাদরাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে। রাতেই ফাঁসি কার্যকর হবে এমন খবরে জামায়াত-শিবিরের ফরিদপুরের শীর্ষ নেতাকর্মী ও স্বজনরা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদরাসা প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। তবে নিরাপত্তার জন্য ব্যাপক পুলিশ সদস্য, আমর্ড পুলিশ ও ৱ্যাব সদস্য মোতায়েন রয়েছে মুজাহিদের বাড়ি ও আশেপাশের এলাকায়। এর আগে মুজাহিদের বড় ভাই জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আলী আফজাল মোহম্মদ খালেছ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, আমার তিন ভাই আলী ইকবাল মোহম্মদ তৌফিক, আলী আজম মোহম্মদ রেজওয়ান, আলী আশরাফ মোহম্মদ শোয়ায়েব ও মা নুর জাহান খানমের কবর ফরিদপুর আলীপুর কবরস্থানে। ফাঁসির দন্ড কার্যকর হলে তাকে ফরিদপুরে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তিন ভাই ও মায়ের কবরের আশে পাশেই মুজাহিদকে দাফন করার ইচ্ছা ছিল। তবে সেখানে অনুমতি না মেলায় ওই মাদরাসায় তাকে দাফন করা হবে।
মুক্তিযোদ্ধাদের স্লোগানে মুখর কারা ফটক, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে জড়ো হয়ে নানা রকমের বিজয়ের স্লোগান দেন একাত্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের মৃত্যুদন্ডের রায় কার্যকরের দাবিতে তাদের স্লোগানে মুখর হয়ে উঠেছে কারাগার এলাকা। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার পর থেকেই কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে উপস্থিত হতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধারা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বাড়তে থাকে মুক্তিযোদ্ধাদের উপস্থিতি। এ সমাবেশে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বিচ্ছু জালাল। মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, এ দিনের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখন সে মুহূর্ত আমাদের সামনে এসেছে। এসময় অন্য যুদ্ধাপরাধীদেরও অবিলম্বে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবি জানান তারা।