মহেশপুর প্রতিনিধি: কোটচাঁদপুর উপজেলার সলেমানপুর গ্রামের হাজেরা বেগমক দালালচক্র ফুঁসলিয়ে ভালো বেতনে চাকরি দেয়ার লোভ দেখিয়ে সৌদিআরবে পাচার করে দেয়। সেখানে তাকে দিয়ে একটি যৌন পল্লিতে দেহব্যবসাসহ তার ওপর চালানো হচ্ছে অমানুষিক নির্যাতন। ভিকটিম পরিবার কোটচাঁদপুর থানায় দালাল চক্রটির বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার সলেমানপুর গ্রামের ভ্যানচালক খোকনের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪০) উন্নত জীবনের আশায় একটি দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে সৌদিআরবে পাচার হয়ে যান। দেড় মাস ধরে তিনি সেখানে বন্ধিদশা জীবনযাপন করছেন। সেখান থেকে দেশে ফিরতে চাইলেও পাচারকারীরা তাকে মুক্তি দিচ্ছে না। মামলার এজাহারে তার স্বামী জানিয়েছেন, আমাদের দারিদ্র্যতার সুযোগ নিয়ে একই উপজেলার দুধসরা গ্রামের মৃত করিম বক্সের ছেলে আবুল খায়ের তাকে বিভিন্ন রকম প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে মোটা অঙ্কের বেতনে চাকরি দেয়ার লোভ দেখিয়ে গত ১১ অক্টোবর মেসার্স ধামাসি কর্পোরেশন লিমিটেড, হাউজ নং-৩৩/এ, রোড-১২, ব্লক-এইচ, বনানী, ঢাকা এজেন্সির মাধ্যমে রাত সাড়ে ৩টার দিকে বিমানযোগে সৌদিআরবে পাচার করে দেয়। সেখানে পৌঁছে গত ২৮ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমার স্ত্রী হাজেরা বেগম আমাকে মোবাইলফোনে বলে, তাকে ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে একটি যৌন পল্লিতে বিক্রি করা হয়েছে। তাকে দিয়ে একটি যৌন পল্লিতে দেহব্যবসা করানো হচ্ছে। তাকে ঠিকমতো খেতে দেয়া হয় না। সে আরো জানায়, গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজ দেয়ার কথা বলে হাজেরাকে পাচার করা হয়েছে। দালাল চক্র আমার স্ত্রীকে ফেরত দিতে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার দাবি করেছে। ভিকটিমের স্বামী খোকন বাদি হয়ে গত ১৫ নভেম্বর আবুল খায়ের ও ধামাসি এজেন্সির চেয়ারম্যানের নামে কোটচাঁদপুর থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটচাঁদপুর থানার এসআই জয়নাল আবেদিন সরকার বলেন, মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে এ মামলাটি রজু করা হয়েছে।