হারদীতে বাস থেকে নামিয়ে একজনকে পিটিয়ে পা ভেঙে দেয়ার অভিযোগ

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: পূর্বশত্রুতার জের ধরে আলমডাঙ্গার হারদী গ্রামে বাস থেকে নামিয়ে নিয়ে কুয়াতলার লিয়াকত আলীকে পিটিয়ে দু পা ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরবর্তীতে কুয়াতলা গ্রামে মারামারির ঘটনায় দু পক্ষের আরও ৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আহত লিয়াকত ও আব্দুস সাত্তারকে কুষ্টিয়া জেনালের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এলাকাবাসী পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা গেছে, জমিজমা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে প্রায় দু মাস আগে উপজেলার হারদী ইউনিয়নের কুয়াতলা গ্রামে দু পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দু মাস পর গতকাল বুধবার দুপুরে আলমডাঙ্গা থেকে বাসযোগে বাড়ি ফিরছিলেন কুয়াতলা গ্রামের শওকত আলীর ছেলে লিয়াকত আলী (৩৮)। পথিমধ্যে হারদী বাজারে বাস উপস্থিত হলে কতিপয় যুবক বাস থেকে লিয়াকত আলীকে টেনেহেঁচড়ে নামিয়ে স্থানীয় কৃষিক্লাবে নিয়ে যায়। সেখানে পিটিয়ে লিয়াকত আলীর দু পা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়া হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

এদিকে লিয়াকতের ওপর এ হামলার সংবাদ পেয়ে লিয়াকত আলীপক্ষ গতকাল সন্ধ্যায় কুয়াতলা গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত রবকুল মণ্ডলের ছেলে আব্দুস সাত্তারের বাড়িতে গিয়ে হামলা করে। এ সময় দু পক্ষের সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়। আহতরা হলেন- মৃত রবকুল মণ্ডলের ছেলে আব্দুস সাত্তার, আব্দুস সাত্তারের ছেলে ইয়ামিন, ইমাদুল ও মেয়ে সোনিয়া এবং অপরপক্ষের কিতাব আলীর ছেলে আব্দুস সাত্তার। আহত লিয়াকত আলী ও আব্দুস সাত্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের দুজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার এসআই জসিম, এসআই রফিক, এসআই অচিন্ত্য ও এসআই জিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হয়।