দামুড়হুদা উপজেলা সদেরর অধিকাংশ রাস্তায় জলাবদ্ধতায় জনদুর্ভোগ চরমে : সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলা সদেরর অধিকাংশ রাস্তায় জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ প্রকট আকার ধারণ করেছে। সড়কের কিছু অংশে ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে তা বন্ধ হয়ে গেছে। সামান্য বৃষ্টিতেই বেশির ভাগ সড়কই হাঁটু সমান পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে দামুড়হুদা উপজেলা সদেরর অধিকাংশ সড়ক। বিশেষ করে চৌরাস্তা মোড় থেকে বাদশাদের বাড়ি পর্যন্ত, তহবাজারের উত্তর দিকের সড়ক, হানিফ মিয়ার সারের দোকানের অদূরে বেশ কিছু অংশ, গালর্স স্কুলের পশ্চিম পার্শ্বের মিজানদের বাড়ি থেকে রবিউল মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত, রশিদ নিকিরীর বাড়ির সামনে, দশমী স্টার ক্লাবের আশপাশ এলাকা, গুলশানপাড়ার আনোয়ার মিয়ার বাড়ি থেকে আক্কাচ আলীর বাড়ি পর্যন্ত, বছরের বেশিরভাগ সময়ই হাঁটু সমান পানি জমে থাকে। এ সমস্ত সড়কে জলাবদ্ধতা নিরসনে নেই কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থা। ফলে একদিকে যেমন স্কুলগামী কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া-আসার পথে চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে ঠিক তেমনিভাবে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদেরকেও ওই নোংরা ময়লাযুক্ত পানির মধ্যদিয়ে মসজিদে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। এছাড়া পানির মধ্যদিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রতিদিনই ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। পানিতে পড়ে বই-খাতা ভিজিয়ে বাড়িতে ফিরছে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু বলেন, দামুড়হুদা উপজেলা সদরে জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যা। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ এলাকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকেও এগিয়ে আসতে হবে। দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টন জানান, ইউনিয়ন পরিষদের আওতাভুক্ত সড়কগুলোর জলাবদ্ধতা নিরসনে আমি কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। গালর্স স্কুলের পেছনে রবিউল মিয়ার বাড়ির সামনের রাস্তা ভাঙনের বিষয়টি উপজেলা পরিষদের গত মাসিক সভায় আমি তুলে ধরেছি। এছাড়া যে সড়কগুলো জেলা পরিষদের আওতাভুক্ত সেই সমস্ত সড়কগুলো যাতে দ্রুততম সময়ে মেরামতসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষেরও আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। এদিকে জলাবদ্ধতার বিষয়ে এলাকার অধিকাংশ জনগণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষসহ নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন। সেই সাথে চরমক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ভোটের আগে অনেকেই দেশদরদী হয়ে ওঠে। মুখে ফোটে এলাকার উন্নয়নের ফুলঝুরি। দুখের বিষয় ভোট শেষ হলে আর কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায় না।