ছিটমহল বিনিময় কার্যকর ৩১ জুলাই মধ্যরাতে

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ও ভারতের ১৬২টি ছিটমহল বিনিময় আগামী ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে। ছিটমহলের অধিবাসীরা এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে যেতে চাইলে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে তাঁদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি-১৯৭৪ এবং সীমান্ত চুক্তির প্রটোকল ২০১১-এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ার চিঠিতে এ কথা বলা হয়েছে। গত শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হক ও ভারতের পররাষ্ট্রসচিব এস জয়শঙ্করের মধ্যে এই চিঠি বিনিময় হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, অপদখলীয় জমি বিনিময় ও সীমানা চিহ্নিত করার কাজটি শেষ হবে ২০১৬ সালের ৩০ জুন। ছিটমহল বিনিময় প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহল এবং ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহল বিনিময়ের আগে দুই দেশের সরকারের প্রতিনিধিরা যৌথভাবে ছিটমহলগুলো পরিদর্শন করবেন। এ সময় তারা ছিটমহলবাসীকে তাদের জাতীয়তা ও নাগরিক হিসেবে অধিকারের বিষয়ে অবহিত করবেন। এ সময় দুই দেশের কর্মকর্তারা ছিটমহল বিনিময়ের আগে সেখানকার যেসব লোকজন আগের নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চান, তাদের চিহ্নিত করবেন। ছিটমহলের জনসংখ্যার জন্য যৌথ জনগণনা শেষে ২০১১ সালের জুলাইতে দুই দেশের মধ্যে তালিকা বিনিময় হয়েছে। ওই তালিকার লোকজন এবং ২০১১ সালের জুলাই থেকে এখন পর্যন্ত ওই সব লোকজনের ঘরে জন্ম নেয়া শিশুরা এ অধিকার পাবে। ২০১১ সালের যৌথ জনগণনা অনুযায়ী, বাংলাদেশের ভেতরে থাকা ভারতের ১১১টি ছিটমহলের মানুষের সংখ্যা ৩৭ হাজার ৩৮৩ জন এবং আয়তন ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর। ভারতে থাকা বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলে মানুষের সংখ্যা ১৪ হাজার ৯০ জন এবং আয়তন ৭ হাজার ১১০ দশমিক শূন্য ২ একর। ছিটমহলের যারা আগের নাগরিকত্ব বজায় রাখতে চান, তাদের চলাচল এবং ছিটমহলের অধিবাসী হিসেবে চলাচলের জন্য দুই দেশের সরকারি কর্মকর্তারা ছবি, প্রবেশ পাসসহ প্রয়োজনীয় দলিল ও তথ্য সংগ্রহ করবেন। ছিটমহলের লোকজন যাতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে নির্বিঘ্নে নিজেদের ব্যক্তিগত জিনিসপত্র এবং বহনযোগ্য সম্পত্তি নিয়ে যেতে পারেন, দু দেশের সরকার তা নিশ্চিত করবেন। আর যারা ছিটমহল থেকে বাংলাদেশ কিংবা ভারতের মূল ভূখণ্ডে ফিরতে চান দুই দেশের সরকারের পরস্পরের সহযোগিতার ভিত্তিতে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সেটির সুরাহা করবেন। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের হলদিবাড়ি, বুড়িমারী ও বাংলাবান্ধার মাধ্যমে এই আসা-যাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।