যশোরে সেই চালকের বাসের ধাক্কায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত

 

যশোর প্রতিনিধি : যশোরে পরিবহন তল্লাশি করা নিয়ে গোলযোগের তিন দিন পর সেই চালকের হাতেই নিহত হলেন কনস্টেবল কৃষ্ণ কুমার ঘোষ (২১)। গোলযোগের জের ধরে টহলরত অবস্থায় পুলিশ কনস্টেবলের গায়ে গাড়িচালক মিন্টু মিয়া সজোরে ধাক্কা দিলে এ হত্যাকা- ঘটে। শুক্রবার সকালে খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ি ও ফিলিং স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে এ ঘটনা ঘটে। কৃষ্ণ কুমার ঘোষ যশোরের খাজুরা পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ঝিনাইদহের মহেশপুরের শাহাবাজপুর গ্রামে।
পুলিশ সূত্র মতে, ১২ মে সোহাগ পরিবহনের একটি বাস ঢাকা যাওয়ার পথে খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ি এলাকায় তল্লাশির জন্য থামতে সঙ্কেত দিয়েছিলেন কনস্টেবল কৃষ্ণ কুমার ঘোষ। তখন গাড়িচালক থামেননি। পরে পুলিশ পিছু নিলে গাড়িচালক মিন্টু মিয়া থামেন। এ সময় কনস্টেবল কৃষ্ণ কুমার ঘোষের সঙ্গে চালকের মনোমালিন্য হয়। এর তিন দিন পর শুক্রবার ভোররাতে টহল ডিউটি শেষে বাড়িতে যাওয়ার জন্য খাজুরা পুলিশ ফাঁড়ির অদূরে মোটরসাইকেল রেখে দাঁড়িয়ে ছিলেন কৃষ্ণ কুমার ঘোষ (ব্যাচ নং-১৮৩৩)। আর এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সেই চালক মিন্টু মিয়া যশোর-মাগুরা মহাসড়কের পুলিশ ফাঁড়ি ও ফিলিং স্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে কৃষ্ণ কুমারকে দেখে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি ঘটনাস্থালেই মারা যান। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

যশোরের বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাউয়ুম আলী এ তথ্য জানিয়ে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকা-। কনস্টেবল কৃষ্ণ কুমার ঘোষ রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও ইচ্ছাকৃত তাকে ধাক্কা দিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, ‘সোহাগ পরিবহনের চালকের সঙ্গে কনস্টেবল কৃষ্ণ কুমার ঘোষের মধ্যে বিরোধ সেই সময় মীমাংসা করে দেন। কিন্তু তারপরও চালক মিন্টু বলেছিলেন, ‘আমরা রাস্তায় থাকি; আপনারাও রাস্তায় থাকেন; দেখা হবে। আজকে সেই দেখা হয়েছে।’
এদিকে এ ঘটনায় বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে গাড়িচালক ও হেলপার পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।