যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে হাজতির আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার: যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে মো. বাবু (২৭) নামে এক হাজতি আত্মহত্যা করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েক রক্ষী হাজতি বাবুকে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন। কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজল মল্লিক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাবুর গলায় দাগ দেখেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। ঘটনাটি আত্মহত্যা কি-না তা ময়নাতদন্তের আগে বলা যাবে না বলে জানান ডা. কাজল মল্লিক। কারাগারের সিনিয়র সুপার শাজাহান হোসেন ওই বন্দি আত্মহত্যার চেষ্টা করে বলে স্বীকার করেছেন।

অন্যদিকে, কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, ‘আমি খোঁজ নিচ্ছি।’ বাবুকে হাসপাতালে আনার কাজে নিয়োজিত কারারক্ষী সেলিম (নম্বর ১৮৩৩) এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে অস্বীকার করেন। যোগাযোগ করা হলে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন হাজতির মৃত্যুর কথা স্বীকার করেন। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। কারাগারের সিনিয়র সুপার শাজাহান হোসেন বলেন, হাজতি বাবু কারাভ্যন্তরের সিঁড়ির কোঠায় গামছা দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। এ সময় কর্তব্যরত কারারক্ষীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রশ্নের জবাবে সুপার শাজাহান হোসেন বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ওই ওয়ার্ডে দায়িত্বরত প্রধান কারারক্ষী ও রক্ষীদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কারাগারে হাজতির আত্মহত্যার ব্যাপারে কিছুই জানে না যশোর পুলিশ। কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিকদার আক্কাছ আলী এ প্রতিবেদকের কাছ থেকে ঘটনা শোনেন। পরে বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখছি।’ মৃত বাবু যশোর শহরের খড়কী রেলগেট এলাকার আমিরউদ্দিন ওরফে আমির ড্রাইভারের ছেলে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অভিযুক্ত হয়ে গত ১৩ মে তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে আসেন বলে জানান সুপার শাজাহান হোসেন।

প্রথমপাতায় ৩ কলামে ছবি আছে