স্কুল বন্ধ করে ব্র্যাকের প্রোগ্রামে গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০ শিক্ষক

হতবাক সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ সচেতন অভিভাবক মহল : শাস্তি দাবি

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: যে জাতি যতো বেশি শিক্ষিত সে জাতি ততো বেশি উন্নত। তাই বলা হয়ে থাকে শিক্ষায় জাতির মেরুদণ্ড। আর শিক্ষকরা জাতির বিবেক। অথচ বিবেক আর মানুষত্ব বিসর্জন দিয়ে কোন পথে হাঁটছেন দামুড়হুদার গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে স্কুল বন্ধ করে বেসরকারি এনজিও সংস্থা ব্র্যাকের একটি র‌্যালিতে অংশ নেয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রতি এলাকার সচেতন অভিভাবক মহল এমন প্রশ্নই করেছেন।

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার ছিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। দিবস উপলক্ষে বেসরকারি এনজিও সংস্থা ব্র্যাক ৱ্যালি ও ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করে। সে মোতাবেক গতকাল সকাল ১০টার দিকে অনুষ্ঠিত দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্য শেকে শুরু হওয়া ব্র্যাকের ৱ্যালিতে দামুড়হুদার গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০ জন শিক্ষককে অংশ নিতে দেখা যায়। স্কুল বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক কুতুব উদ্দিন জানান, ২টা ক্লাস নিয়ে ছুটি দেয়া হয়েছে। ব্র্যাক দামুড়হুদা শাখার ম্যানেজার আবু সাইদ বলেন, প্রধান শিক্ষকের সাথে আগে আলোচনা করা হয়েছিলো। সে মোতাবেক শিক্ষকরা প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন। প্রোগ্রামে অংশগ্রণনকারী সকল শিক্ষককে নাস্তাসহ ২শ টাকা করে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি এলাকার সচেতন অভিভাবক মহল জানতে পেরে হতবাক হয়েছে। শিক্ষকদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, বিবেক আর মানুষত্ব বিসর্জন দিয়ে শিক্ষকরা কোন পথে হাঁটছেন? বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানিয়েছেন বেশ কিছু অভিভাবক। এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা বলেন, স্কুল বন্ধ করে এনজিও’র প্রোগ্রামে অংশ নেয়া ঠিক হয়নি। তাছাড়া বিষয়টি আমাকে জানানো উচিত ছিলো কিন্তু জানায়নি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ. মান্নানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমার কাছে চিঠি আছে ব্র্যাক ও উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে ওই প্রোগ্রামের আয়োজন করেছে। স্কুলবন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, সকাল ৮ থেকে স্কুল শুরু হয়। আমরা অ্যাসেম্বলি করিয়ে ২টি ক্লাস নেয়ার পর ছুটি দিয়েছি।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডা. আবু হাসানুজ্জামান নূপুর বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগের ব্যানারে যে ৱ্যালি হয়েছে শিক্ষকরা তাতে অংশ নেননি। তারা ব্র্যাকের ৱ্যালিতে অংশ নিয়েছেন। তাছাড়া আমি তো তাদের দাওয়াত দেইনি। তারা এসছেন ব্র্যাকের দাওয়াতে। বরং স্কুল বন্ধ করে ৱ্যালিতে অংশ নেয়ার বিষয়টি শুনে আমি নিজেও হতবাক হয়েছি।