নড়াইলে মাশরাফিকে বিরোচিত সম্বর্ধনা

স্টাফ রিপোর্টার: নড়াইলে বীরোচিত সম্বর্ধনা দেয়া হয়েছে জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে তাকে গণসংবর্ধনা দেয়া হয়। জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নড়াইল এক্সপ্রেস খ্যাত মাশরাফি বিন মুর্তজা (কৌশিক) গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৪টা ৫ মিনিটে হেলিকপ্টারে নড়াইল শহরের কুড়িগ্রামের কুড়িডোব মাঠে অবতরণ করেন। সেখান থেকে হাতি, ঘোড়া ও মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে সবংর্ধনা স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা হাজারো ভক্ত দর্শক তাকে ফুল ছিটিয়ে এবং হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান। এভাবে তিন কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম কালে তিনি ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন।
অনুষ্ঠান স্থলে পৌছানো মাত্র মাশরাফি মাশরাফি স্লোগানে স্লোগোনে মুখরিত হয়ে উঠে গোটা অনুষ্ঠান স্থল। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্বর্ধনা জানান। অনুষ্ঠান স্থলে মাশরাফির শিশু কন্যা, পুত্র, স্ত্রী সুমি, মাতা হামিদা খানম বলাকা ও পিতা গোলাম মুর্তজা স্বপনসহ নিকট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আব্দুল গাফফার খান। বক্তব্য রাখেন- নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হাফিজুর রহমান, জেলা পরিষদ প্রশাসক অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস, পুলিশ সুপার সরদার রকিবুল ইসলাম, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু প্রমুখ। কৃতীসন্তানের আগমন উপলক্ষে শহর সেজেছিলো অপরুপ বর্ণিল সাজে। তৈরি করা হয়েছিলো বিশাল মঞ্চ। শহরের প্রধান প্রধান সড়কে নির্মাণ করা হয়েছিলো বিশাল বিশাল তোরণ। ব্যানার, ফেস্টুন, জাতীয় ক্রিকেট দল এবং সবার প্রিয় মাশরাফির ছবি দিয়ে সাজানো হয়েছিলো রাস্তার দু পাশ, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। ২০০১ সালের ২৩ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এক দিনের ম্যাচে প্রথম নাম লেখান। বাংলাদেশের একমাত্র সফল অধিনায়ক ৩১ বছর বয়সী মাশরাফি বিন মোর্তজা। এরপর থেকে তাকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। একগ্রতা, কঠোর অনুশীলন, আত্মবিশ্বাস ও ছোট মামা নাহিদের অনুপ্রেরণায় সার্বিক সহযোগিতা এবং নড়াইলবাসীর দোয়া ও ভালবাসায় তিনি হয়ে ওঠেন বাংলাদেশ ক্রিকেট অঙ্গনের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র।
নড়াইল শহর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নড়াইল সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরে নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র ছিলেন। পিতা গোলাম মোর্তজা স্বপন নড়াইল শহরের মহিষখোলা গ্রামের বাসিন্দা। ব্যক্তিগত জীবনে কৌশিক বিবাহিত এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের পিতা। ছোটভাই সিজার সেও ক্রিকেটার, ইতোমধ্যেই বড় ভাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরন করে এক্ষেত্রে নৈপূন্যের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছেন।