ভারতে এক পরিবারের সবার আত্মহত্যা

মাথাভাঙ্গা মনিটর: ভারতে যৌন নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে একই পরিবারের চারজন আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার আগে এক সুইসাইড নোটে পুলিশের তদন্তের আর্থিক সহায়তার জন্য রেখে গেছেন ৭৫ হাজার টাকা।

গত শুক্রবার ভারতের জাঁকজমকপূর্ণ শহর মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারা ফ্ল্যাটে বোন ভারতী পাল (২৫) এবং বোন সোমনাথ কার্তিকের (২০) মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তারা ওই ফ্ল্যাটে গৃহকর্মে নিযুক্ত ছিলেন। এর পরদিন সকালে লক্ষ্মৌদোলার নিজ বাড়িতে আত্মহত্যা করেন তাদের মা শিখা পাল (৪৫) এবং সৎ বাবা মনোজ অজিতকুমার (৫০)। অভিযোগ পাওয়া গেছে, নিয়োগ কর্তা টিঙ্কু সিং ভারতী পালকে প্রায়ই যৌন নির্যাতন করতেন এবং প্রতিবাদ করলে ভাই সোমনাথকে মারধর করতেন। ভারতী তার সুইসাইড নোটে জানিয়েছেন, নিয়োগ কর্তা টিঙ্কু সিং তাকে প্রায়ই যৌন নির্যাতন করতেন এবং এজন্য তিনি আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছেন। তবে তার নোটটি মায়ের বাড়িতে পাওয়া যায়। ওশিওয়ারা থানার পুলিশ পরিদর্শক মাহাদিও অভেলি জানিয়েছেন, তারা তদন্ত করছেন কিভাবে ভারতীর নোটটি তার মায়ের বাড়িতে গেলো। মা-বাবার মৃতদেহের কাছে একটি মোবাইলফোন পাওয়া গেছে যাতে আত্মহত্যার তিনটি ভিডিও রয়েছে।

মা তার ভিডিওতে বলেছেন, আমার সন্তানেরাই আমার জীবন। তারা চলে গেছেন। তাই আমিও বাঁচতে চাই না। সোমনাথ তার নোটে লিখেছেন, তার বোনকে যৌন নির্যাতন করতেন নিয়োগ কর্তা। প্রতিবাদ করলে তাকে প্রায়ই মারধর করা হতো। আর বাবা তার নোটে মৃত্যুর জন্য নিজেকে দায়ী করেছেন। একটি নোট পাওয়া গেছে রান্না ঘরে যাতে পুলিশের তদন্তের জন্য ৭৫ হাজার নগদ টাকা রেখে যাওয়ার কথা লেখা রয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যেই ৩৫ বছর বয়সী নিয়োগকর্তা টিঙ্কু শিংকে গ্রেফতার করেছে। টিঙ্কু শিঙের বাড়িতে ভাই-বোন দশ বছর ধরে কাজ করতেন।