আলমডাঙ্গা গড়গড়ির শফিকুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ নির্যাতনের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: বিয়ের প্রলোভনে দেহভোগ, বিয়ে না করে সালিসের নামে প্রহসনসহ প্রতারিত যুবতীকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিন পরিদর্শন করেছে চুয়াডাঙ্গা মানবতা ফাউন্ডেশনের একটি প্রতিনিধি দল। গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিন পরিদর্শন শেষে মানবতা ফাউন্ডেশন এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়ে বলেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়গড়ির শহিদুল ইসলামের ছেলে রাজমিস্ত্রি শফিকুর রহমান তার লোকজন নিয়ে পার্শ্ববর্তী রোয়াকুলি গ্রামের দরিদ্র পিতার যুবতী কন্যার ওপর একের পর এক অন্যায় করে চলেছে। এ অভিযোগের প্রাথমিক প্রমাণও মিলেছে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার গড়গড়ি গ্রামের শফিকুল (২৫) পার্শ্ববর্তী রোয়াকুলি গ্রামের দরিদ্র পিতার সরলসোজা যুবতী মেয়ের সাথে বিশেষ সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রলোভনে দেহভোগও করে। বিয়ে না করলে যুবতী ধর্ষণের অভিযোগ উত্থাপন করলে গ্রামে সালিসের আয়োজন করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, সালিমে জেহালা ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ ওয়ার্ডের কাজী আনোয়ার হোসেন ও ৫, ৬, ৭, ৮ ও ৯ ওয়ার্ডের কাজী জামাত আলীসহ গড়গড়ি গ্রামের কয়েকজন মাতরকে নিয়ে সালিসে বসে অভিযুক্তের নিকট থেকে নগদ টাকা আদায় করেন। সালিসের এক পর্যায়ে যুবতীকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। এসব অভিযোগ করে আইনগত সহয়তা চেয়ে যুবতী চুয়াডাঙ্গা পলাশপাড়াস্থ মানবতা ফাউন্ডেশনের আবেদন করে। এরই ভিত্তিতে গতকাল মানবতা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক অ্যাড. মানি খণ্দকারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গতকাল সরেজমিন পরিদর্শন করে। গড়গড়ি গ্রামের অনেকের সাথেই কথা বলে প্রতিনিধি দল। এ সময় সালিসে অভিযুক্তের নিকট থেকে ২৫ হাজার টাকা আদায় করা হয় বলে অনেকেই জানিয়েছেন। ইউপি চেয়ারম্যানও বিষয়টি অবগত আছেন বলে তিনি সেলফোনে স্বীকার করেন। এরই মাঝে অভিযোগ উত্থাপনকারী প্রতিকার না পেয়ে আত্মহত্যা করবে বলে বার বার ঘোষণা দিচ্ছে।
প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, দরিদ্র পরিবারের যুবতী মেয়ে প্রতারিতই শুধু হয়নি, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সরেজমিন তদন্তে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ফলে সালিসে টাকা আদায়কারী দু কাজিসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।