চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষার সময় হরতালের প্রতিবাদে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার: এসএসসি পরীক্ষার সময় নেতাদের হরতাল আহ্বানের প্রতিবাদে হতাশাগ্রস্ত অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ডাকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১০টায় চুয়াডাঙ্গার শহীদ হাসান চত্বরে জেলা শিক্ষক অভিভাবক ফোরাম ও সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান-সুপ্রর আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে ছাত্র, শিক্ষক, অভিভাবক ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মানববন্ধনে চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষক অভিভাবক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোত্তালিব, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সেলিম উদ্দিন খান, আজাদ মালিতা, বিল্লাল হোসেন, শাহেদ জামাল, দারুল ইসলাম ও মোজাহারুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
এ সময় বক্তারা এসএসসি পরীক্ষাসহ সকল পাবলিক পরীক্ষার সময় হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি না দিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জোরালো আহ্বান জানান। সুপ্র এক প্রেবিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সংঘাত ও সহিংসতা নয়- চাই শান্তি, নিরাপত্তা, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ও স্বাভাবিক বেঁচে থাকার অধিকার এ দাবিকে সামনে রেখে গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বরে এক মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। সুশাসনের জন্য প্রচারাভিযান-সুপ্র চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটি ও শিক্ষক অভিভাবক ফোরামের আয়োজনে মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সুপ্র-চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটি ও শিক্ষক অভিভাবক ফোরামের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা পরীক্ষা চলাকালীন হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি বন্ধ রাখার জন্য বিরোধীদলের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া মূল মূল দাবির মধ্যে ছিলো- সহিংসতা, নাশকতা ও সংঘাতকে প্রভাবিত করে, সুযোগ তৈরি করে দেয়, সাধারণ মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয়, শান্তি ও নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে এমন কর্মসূচি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে; মুক্তিযুদ্ধের চেনতায় ও আদর্শে লালিত সকল মত ও পথের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি গ্রহণে সমানভাবে সুযোগ ও পরিবেশ সৃষ্টিতে সরকার ও রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে; রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক অবিশ্বাস ও অসহিষ্ণুতা দূর করতে কার্যকর যোগাযোগ ও সংলাপের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে; ধর্মকে ব্যবহার করে ভিন্নমাত্রার রাজনৈতিক উত্থান, সহিংস আচরণ ও কর্মকাণ্ড সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে; সহিংসতা ও নাশকতাকারীদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে; গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে (সংসদ, বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন) আরো শক্তিশালী ও কার্যকর করতে হবে। মানববন্ধন চলাকালীন সকল অংশগ্রহকারীর মাঝে সুপ্র প্রকাশিত অবস্থানপত্র বিতরণ করা হয়।